উচ্চশিক্ষায় অন্যান্য দেশ আমাদের থেকে এগিয়ে যাচ্ছে আর আমরা পিছিয়ে পড়ছি বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহিদুল্লাহ।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বেলা এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার রুমে নাগোয়া ইনভারোনমেন্টাল ন্যাচারাল ফাউন্ডেশন (এনইএফ) কর্তৃক আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। এনইএফ কর্তৃক স্কলারশিপ প্রাপ্ত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষকরা যদি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে তবে শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে ভালো করবে। শিক্ষার সিস্টেম ভালো হতে হলে তার মূল শক্তি হলো শিক্ষকরা। একসময় উচ্চ শিক্ষায় আমরা ভালো ছিলাম। এখনকার মতো এত সুবিধা আমাদের ছিল না কিন্তু শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষকরা অনেক বেশি নিবেদিত ছিল। ফলে আমরা ভালো রেজাল্ট পেতাম। তখন আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রেটিংয়ে থাকতো কিন্তু এখন অনেক সুবিধা থাকার পরেও আমরা রেটিংয়ে থাকিনা। উচ্চশিক্ষায় অন্যান্য দেশ আমাদের থেকে এগিয়ে যাচ্ছে আর আমরা পিছিয়ে পড়ছি। এই অবস্থা আমাদেরকে পরিবর্তন করতে হবে। শিক্ষাকে না বাঁচাতে পারলে কোনো প্ল্যান লাভ হবে না।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যখন একটি উন্নয়ন প্রকল্প মেধাবীদের উৎকর্ষতার জন্য আনা হয়েছে। তাদের বসবাসের জন্য যাতে আর গণরুম সংস্কৃতি না থাকে। লাইব্রেরি, ক্লাসরুম, খেলাধুলাসহ অন্যান্য সুবিধা যেন তারা (শিক্ষার্থীরা) পায় সেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর সবুজ জায়গা এখানে উন্নয়ন কাজ চালাতে হলে কিছু গাছ কাটতে হবে সেটাকে আমরা আবার অন্যভাবে রিকভার করবো।’
এ সময় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান ও প্রকল্পের টাকা দুর্নীতির প্রতিবাদে গড়ে উঠা চলমান আন্দোলনকে নির্দেশ করে বলেন, ‘যারা আমাদেরকে বাধা সৃষ্টি করছেন তারা উন্নয়ন কাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
স্কলারশিপ সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খবির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফল হাসান, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামালউদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।