আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদেরকে আর ব্যাংকের সামনে দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করে টাকা জমা কিংবা ফরম পূরণ করতে হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক আসিফ হোসেন খান।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল ও পাঠের বিষয়বস্তু ডিজিটাইলেজশন' বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
ইউএসএআইডি, ইউকেএইড-এর যৌথ অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশন্যাল-এর আয়োজনে ডাকসুর মিলনায়তনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক বিএমলিপি আক্তার ও ডাকসুতে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (পরাজিত) কানেতা ইয়া লাম-লাম যৌথভাবে এটি পরিচালনা করেন।
গোলটেবিল বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত আইসিটি সেলের পরিচালক আসিফ হোসেন খান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যে দীর্ঘ লাইন ধরে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হয় ও ফরম পূরণের জন্য মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরও লাইন ধরতে হয়, সেটা সেপ্টেম্বর মাস থেকে থাকবে না।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সবকিছুর জন্য কিছু সময় লাগে। সেই সময়টুকু আমাদের দিতে হবে। ডাকসু নির্বাচন কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ডেটাবেজ তৈরি করেছি। শিক্ষকদের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। সবকিছু একটা প্রসেসিংয়ের মধ্যে রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের কাজ অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় পাঁচ দিন সময় লাগে। প্রতি সেমিস্টারে চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে ও প্রতিবছর ভর্তি হওয়ার জন্যও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বার বার যেতে হয় রেজিস্ট্রার ভবনে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউকেএইড-এর বাংলাদেশ প্রধান কেটি ক্রোপ, ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন, ডাকসুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী প্রমুখ।