গাছ-গাছালিতে ভরা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কুকুর-শিয়ালের পর এবার সাপের উপদ্রব বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসের ঝোপঝাড় পরিষ্কার না করায় সাপের উপদ্রব বেড়েই চলেছে। গত এক সপ্তাহে অন্তত দশটি সাপ মেরেছে কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে ক্যাম্পাস জুড়ে সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গাছ-গাছালিতে ভরা ক্যাম্পাসের চারপাশে ঝোপঝাড়, জঙ্গল, ছোট ছোট অসংখ্য গর্ত রয়েছে। সম্প্রতি টানা কিছুদিন বৃষ্টি হওয়াতে সাপের উপদ্রব আরও বেড়ে গেছে। বিশেষ করে মেয়েদের আবাসিক হল, ছেলেদের আবাসিক হল, সেন্ট্রাল লাইব্রেরী, শিক্ষকদের আবাসিক ভবন, মসজিদ, ক্যাফেটেরিয়া ও বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের আশেপাশে প্রচুর সাপের বসবাস বলে মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মচারীরা। সাপের আতঙ্কে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের অফিস কক্ষ।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষক ডরমেটরির নীচে একটি সাপ দেখা যায়। তাৎক্ষনিকভাবে সাপটি তাড়াতে গিয়ে একজন শিক্ষক আহত হয়। এর আগেও কয়েকবার ওই ডরমেটরির আশেপাশে সাপ দেখতে পাওয়া গেছে। গেল সাতদিনে এসব স্থান থেকে আট-দশটি বিষধর সাপ মারা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।
ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, ডরমেটরির আশেপাশে প্রচুর সাপের উৎপাত। এর আগে গত জুলাই মাসে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের অফিস কক্ষ থেকে ৭ টি সাপের বাচ্চা বের হয়। তারও কয়েকদিন আগে একাডেমিক ভবন ৩ থেকে একটি সাপ মারা হয়।
হঠাৎ করে সাপের এমন উপদ্রব বাড়াতে সবার মনে অজানা আতঙ্ক নাড়া দিচ্ছে। অনেকই মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সাপের দংশনে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সাপ নিধনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হলের প্রভোস্ট তাবিউর রহমান প্রধান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। খুব দ্রুত প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাপের উপদ্রব বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।