চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচিতে মশারি টানিয়ে বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে বিভাগের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা যায়, বিভাগের সামনে মশারি টানিয়ে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় নিরাপত্তা হিসেবে মশারি টানানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার (৩১ জুলাই) একই দাবিতে আন্দোলন করলেও শিক্ষকদের আশ্বাসে ২৪ ঘণ্টার জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরে বিভাগটির স্নাতক শ্রেণীর চারটি বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়। চতুর্থ বর্ষ ছাড়া সবগুলো বর্ষের পরীক্ষাই শেষ হয় ডিসেম্বরে। চতুর্থ বর্ষের (বর্তমানে মাস্টার্স) পরীক্ষা শেষ হয় ২৪ জানুয়ারি। গত ১৭ জুলাই প্রথম বর্ষের (বর্তমান দ্বিতীয় বর্ষ) ফল প্রকাশিত হলেও এখনো পর্যন্ত অন্যান্য বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের জন্য বলা আছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রশাসন থেকে নির্দেশনা দেওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট কোর্সের খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি। এতে বোঝা যায় কতিপয় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রতি উদাসীন। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদেরকে হতাশ করেছেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। কর্মসূচিতে বিভাগের প্রথম বর্ষ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছেন। এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সন্ধ্যা ৭টায় একাডেমিক কমিটির জরুরি সভা শুরু হয়।
বিভাগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ নম্বরপত্র পাইনি। কিছু খাতার নম্বর এখনো বাকি আছে।’
উল্লেখ্য, বুধবার শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে বিভাগের শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। উপাচার্য যেসব খাতা অমূল্যায়িত আছে সেগুলো আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল্যায়ন করে নম্বরপত্র জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে নির্দেশ দেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট শিক্ষক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নম্বরপত্র জমা না দেওয়ায় ফের অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।