মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নেতারা বহাল, সাংগঠনিক কার্যক্রম বেহাল

বিবিধ, ক্যাম্পাস

সাইফুল্লাহ সাইফ, রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-27 07:14:30

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের এক বছর মেয়াদী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় দেড় বছর আগে। এরপর থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছে কার্যক্রম। দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকায় হচ্ছে না রাজনীতির চর্চা, নেই নিয়মিত মিছিল-মিটিং। মাঝে মাঝে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করলেও অন্য কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি থাকে খুবই নগন্য।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়। পদপ্রত্যাশী নেতাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনটির কার্যক্রমে গতিশীলতা বাড়াতে যেন দ্রুত নতুন কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর রাবি শাখা ছাত্রলীগের ২৫তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং ১১ ডিসেম্বর গোলাম কিবরিয়াকে সভাপতি ও ফয়সাল আহমেদ রুনুকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট এক বছর মেয়াদী আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর প্রায় ছয় মাস পর ১৯ জুন ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির স্থলে ২৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঐ কমিটিতে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের পদ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠে। শুরুর দিকে বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক কাজ করে সাড়া ফেললেও শেষ পর্যন্তÍ এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি সেই কমিটি। বিভিন্ন সময় সাংবাদিক-শিক্ষার্থী মারধর, ছিনতাই, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি ও ছাত্রী উত্যক্তসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বার বার গণমাধ্যমে শিরোনাম হতে হয়েছে রাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।

এদিকে, হল ইউনিটকে ক্যাম্পাস রাজনীতির প্রাণ বলা হলেও দীর্ঘ সাড়ে চার বছর ধরে নেই হল কমিটি। বার বার হল কমিটি দেওয়ার আশ্বাস দিলেও হয়নি। এতে হলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। যার ফলে হলগুলোতে সিট বাণিজ্যসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ও ২২ নভেম্বর দুই ভাগে ছাত্রদের ১১টি হলের সম্মেলন করে তৎকালনী রানা-বিপ্লব কমিটি। পরে বিভিন্ন সময়ে ৯টি হলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঝুলিয়ে রাখা হয় শের-ই-বাংলা ও শহীদ জিয়াউর রহমান হল শাখার কমিটি। নতুন করে আর হল কমিটি দেয়নি ছাত্রলীগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের একাধিক নেতা বলেন, প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে হল কমিটি দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্র থেকে নির্দেশ থাকলেও কোনো এক অজানা কারণে এখনো পর্যন্ত হল কমিটি হয়নি। যার ফলে অনেক নেতাকর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। তাই দ্রুত নতুন কমিটি দেওয়া এখন সময়ের দাবি।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর