জাবিতে সংঘর্ষের পর মিষ্টি বিক্রি বেড়েছে বেলালের!

, ক্যাম্পাস

জাবি করেসপন্ডেন্ট | 2023-08-28 09:08:05

‘আগে এক কেজি মিষ্টি বিক্রি করতে এক-দুই দিন লেগে যেত। কিন্তু এখন দিনে কয়েক কেজি মিষ্টি বিক্রি করতে পারছি। শুধু শিক্ষার্থী না এখন আমার দোকানে স্যারেরাও আসছেন। দুইদিন ধরে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ এসে মিষ্টির খোঁজ করছে।’
বলছিলেন আব্দুল হক বেলাল (৬০)। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় দোকান করছেন গত ৪৭ বছর ধরে। তবে সম্প্রতি তার দোকানে মিষ্টি খাওয়ার সময় ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় আলোচনায় এসেছেন তিনি।

তবে শুধু মিষ্টি বিক্রি নয়, সংঘর্ষের পর বেড়েছে বিড়ম্বনাও। তিনি বলেন, ‘মিষ্টির বিক্রির জন্য এভাবে পরিচিতি পেয়ে যাব বুঝতে পারিনি। এখন সবাই আমাকে খোঁজে। বাড়িতে ফোন করে বলে বেলাল ভাই কই! সেদিন পোলা স্কুল থেকে কল করে কইল; বাবা কী হলো সবাই তোমাকে নিয়ে কী বলে। মিষ্টি নিয়ে কী হলো? তখন আমি তারে বললাম, নাহ তেমন কিছু হয়নি। এখন বিরক্ত হয়ে মোবাইল বন্ধ করে রাখি। না হলে বাড়িতে সবাই উৎকণ্ঠায় থাকে আবার কখন কী হয়ে যায়।’

বেলালের বিক্রি বেড়ে যাওয়া মিষ্টি

 

সেদিন সংঘর্ষের কথা স্মরণ করে বেলাল মিয়া বলেন, ‘ছোট্ট বিষয় নিয়ে এতকিছু হয়ে যাবে আমি বুঝতে পারিনি। আগে বুঝতে পারলে আমি ওদেরকে বলে সব সমাধান করে দিতাম। কিন্তু বুঝে ওঠার আগেই কত কিছু হয়ে গেল। মারামারিতে কত শিক্ষার্থী আহত হলো। এটাতে খুব খারাপ লেগেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকি। আমরা চাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই ভালো থাকুক। আর কোনো গ্যাঞ্জাম ফ্যাসাদ না হোক।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর সোয়া দুইটা থেকে চারটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় এক ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মিষ্টি খাওয়ার পর ‘অসাবধানতা বশত’ ছাত্রলীগ কর্মীর গায়ে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে এবং কথা কাটাকাটির জের ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মওলানা ভাসানী হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ অন্তত ৬৫জন আহত হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর