নানা আয়োজনে রাবির ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বিবিধ, ক্যাম্পাস

রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 11:14:10

‘শিক্ষা শান্তি প্রগতির ধারা আজও আমাদের সাথি, অবিরাম এই চলার ছন্দে আমরা অলোর জ্ঞাতি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ খ্যাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান।

পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের পাশে একটি বকুল ফুলের চারা রোপণ করেন উপাচার্য।

এরপর প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট, আবাসিক হলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

র‌্যালি পূর্ববর্তী এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, ‘প্রতিটা জন্মদিন আনন্দের। হোক সেটা মানুষ বা প্রতিষ্ঠানের। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তার গৌরবের ৬৭ বছরে পদার্পণ করেছে। আমরা আজ আনন্দিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং কেবল পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করে না। এটি নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ওপর। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা যত বেশি সে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং তত বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত নান্দনিকতা ও সৌন্দর্য যত বাড়বে শিক্ষার্থীরা গবেষণায় তত আগ্রহী হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত নান্দনিকতা বাড়াতে কাজ করছে বর্তমান প্রশাসন। সাত পুকুর প্রকল্প তার অন্যতম প্রমাণ।’

এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেলে আন্তঃকলেজ চ্যাম্পিয়ন ও বিভাগ চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রশাসন।

উল্লেখ্য, ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ প্রাদেশিক পরিষদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হয়। একই বছরের ৬ জুলাই ড. ইৎরাত হোসেন জুবেরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সময় পদ্মাপাড়ের বড় কুঠি ও রাজশাহী কলেজের বিভিন্ন ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।

১৯৬১ সালে বড় কুঠি থেকে নয়নাভিরাম মতিহারের এ সবুজ চত্বরে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। রাজশাহী শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত এ ক্যাম্পাসটি ৩০৩ দশমিক ৮০ হেক্টর জমিতে স্থাপিত।

শুরুতে দর্শন, ইতিহাস, বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, গণিত ও আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়টি অনুষদের অধীনে ৫৮টি বিভাগ রয়েছে। তাছাড়া উচ্চতর গবেষণার জন্য রয়েছে ছয়টি ইনস্টিটিউট। শিক্ষক রয়েছে প্রায় সাড়ে ১২০০ এবং শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ৩৭ হাজার। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল রয়েছে ১৭টি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর