সূর্যসেন হলের মেস-ক্যানটিন বন্ধ, বেকায়দায় শিক্ষার্থীরা

বিবিধ, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 08:11:47

হল খোলার ১১ দিন পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ক্যানটিন ও মেস (নেক্সাস) এখনো চালু হয়নি। এতে খাবার গ্রহণে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন হলের শিক্ষার্থীরা। আর এ সুযোগে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করছেন হলের কিছু দোকানি। বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের সেগুলো খেতে হচ্ছে।

সূর্যসেন হলে মোট আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দুই হাজার ৩০০ জন। হল ক্যানটিন ও মেসে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী নিয়মিত খান। সেগুলো বন্ধ থাকায় খাবারের জন্য শিক্ষার্থীদের নির্ভর করতে হচ্ছে হলের দুটি দোকানের উপর।

এদিকে এসব খাবারের দাম চড়া ও নিম্নমানের হওয়ায় অতিষ্ট শিক্ষার্থীরা। যার ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে কিংবা পাশের জিয়া হল, জসিম উদ্দিন হল, মুহসিন হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের খেতে হয়।

মাস্টারদা সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী এম কে সৌরব বলেন, ‘ছুটির পর থেকে হল কর্তৃপক্ষ খাবারের বিষয়টি জানলেও কোনো কথা বলছে না। দোকানে ডাল নেই, ভাজি নেই, একটু আলু ভর্তা আছে। আবার যে মাছ দেওয়া হচ্ছে সেটা পচা।’

এ নিম্নমানের খাবার পেতেও এক প্রকার প্রতিযোগিতায় নামতে হয় উল্লেখ করে আরেক শিক্ষার্থী রিয়াজ হাসান বলেন, ‘খাবারের জন্য সবসময় ভিড় লেগে থাকে। খেতে গিয়ে খাবারের দিকে তাকিয়ে আর খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পরে দুধ-চিড়া খেয়ে ফিরে আসলাম।’

এদিকে মেস-ক্যানটিন এখনো কেন বন্ধ সেটা জানেন না শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান খান সোহান বলেন, ‘মেসের ব্যাপারটা হল প্রশাসন দেখছে। সেটা আমি জানি না। তবে ক্যানটিনের মালিক পরিবর্তন হওয়ায় ক্যানটিন চালু করতে একটু সময় লাগবে। ভালো ক্যানটিন পরিচালকের সন্ধান করছি এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।’

এদিকে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মকবুল হোসেন বলেন, 'শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে একজনকে হলের ক্যানটিনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি। এখন যদি শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ করতে না পারে, তাহলে তাদের দোকান বন্ধ করে অন্যদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।’

মেস (নেক্সাস) বন্ধ কেন এবং কবে নাগাদ চালু হচ্ছে- এমন প্রশ্নে নেক্সাসের অডিটর নাইম নাজমুল বলেন, ‘যথারীতি নেক্সাস চালু করার সব প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। হঠাৎ হল প্রশাসন ডেকে নেক্সাস খুলতে মানা করে এবং যাদের টাকা তোলা হয়েছে তাদের টাকা ফেরত দিতে বলে। স্যাররা কিছু নির্দেশনা দেন। তা হলো- আইডি কার্ডের মেয়াদ নেই এমন ছাত্ররা খেতে পারবেন না; পূর্ণ টাকা একসাথে সেশনের শুরুতে দিতে হবে; যেহেতু সদস্য কমে যাবে, তাই কিছু কর্মচারী বাদ দিতে হবে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর