উত্তাল বুয়েট: প্রশাসনিক ভবনে তালা, রাস্তা অবরোধ

, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট  | 2023-08-30 17:58:59

বিতর্কিত প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগ বাতিল, নিয়মিত শিক্ষক মূল্যায়ন প্রোগ্রাম,ক্যাম্পাস প্রবেশ মুখে সুদৃশ্য তোরণ নির্মাণ, নতুন ছাত্রকল্যাণ দফতরের পরিচালককে অপসারণ, শিক্ষার্থীদের সব লেনদেন ডিজিটাল করা, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি, টার্ম পরীক্ষায় কোডিং সিস্টেম চালু, ছাত্রী হলকে সনি হল নামকরণসহ ১৬ দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে প্রশাসনিক ভবনে তালা ও রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে  বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৯ জুন) পঞ্চম দিনের মতো বুয়েট শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এদিন আন্দোলনকারীরা দলবদ্ধ হয়ে ভিসি ভবনে তালা লাগিয়ে দেন।

পাঁচদিন যাবৎ আন্দোলন চালিয়ে গেলেও এখনও কোনো আশ্বাস পাননি তারা। এতে উত্তাল বুয়েট ক্যাম্পাস।  দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরে যাবেন না বলে ঘোষণা দেন তারা।

বুয়েট সূত্র জানায়,পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী বুধবার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় পঞ্চম দিনের আন্দোলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১টায় বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে বিভিন্ন বিভাগের হাজার হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হন। এরপর তারা মিছিল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে ভিসি ভবনের সামনে গিয়ে টানা তিন ঘণ্টা  অবস্থান করে ফের শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।

আন্দোলনের মুখপাত্র হাসান সারোয়ার সৈকত বলেন, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে বুয়েট শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সমর্থন জানানো হয়েছে। অধ্যাপক ডা. এ কে এম মাকসুদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, বর্তমান ভিসির কর্মকাণ্ডে আমরা শিক্ষকরা সন্তুষ্ট নই। শিক্ষার্থীরা যেসব দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তা যৌক্তিক। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে বুয়েট শিক্ষকরা সংহতি প্রকাশ করছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে গত দুদিন আগে ভিসি ভবনে তালা লাগিয়ে দেন। এরপর থেকে ভিসি স্যার আর ক্যাম্পাসে আসেননি।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাননি অভিযোগ করে আন্দোলনের মুখপাত্র মেকানিক্যাল বিভাগ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসান সরোয়ার সৈকত বলেন, দাবি আদায় ছাড়া আমরা ক্লাসে ফিরব না। আমরা পাঁচদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে এলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া দেয়া হয়নি। এ কারণে আমরা বাধ্য হয়েই বুধবার প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনকে বুয়েট শিক্ষক সমিতি সমর্থন জানিয়েছে। যৌক্তিক আন্দোলন বলেই তারা এতে সংহতি প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন সময়েও আমরা এসব দাবিতে আন্দোলন করেছি, আমাদের শুধু আশ্বাস দেয়া হয়েছে। তবে এবার দৃশ্যমান বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘প্রশাসনের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’; ‘প্রহসনের প্রশাসন মানি না, মানি না’; ‘স্বৈরাচারী প্রশাসন মানি না, মানবো না’; ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না’ নানা ধরণের স্লোগান দেয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর