জাবিতে ‘নিবর্তনমূলক’ ছাত্র শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি

বিবিধ, ক্যাম্পাস

জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 19:03:56

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ ৫ এর 'ঞ' এবং 'থ' ধারাকে নিবর্তনমূলক আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) বেলা সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে সিন্ডিকেট সভা চলাকালীন সময়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিকের সঞ্চালনায় জাবি সংসদের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয় বলেন, ‘শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনরূপ আলোচনা ছাড়াই এবং তাদের মতামতের তোয়াক্কা না করেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থী-স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশ এবং অবাধ তথ্য প্রকাশের উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। তথ্য অধিকার সুরক্ষায় রাষ্ট্রীয় আইন থাকার পরেও এইরকম আইন প্রণয়ন অত্যন্ত দুরভিসন্ধিমূলক। এই কালা কানুন প্রণয়নের মাধ্যমে তথ্যের অসততা বা বিকৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারণ করে দেওয়ার ফলে ক্ষমতার বিরুদ্ধে পর্যালোচনামূলক সাংবাদিকতাও বাধাগ্রস্ত হবে।’

মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের কার্যকরী সদস্য রাকিবুল রনি শিক্ষার্থী স্বার্থবিরোধী এ অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘রাষ্ট্রকর্তৃক জনগণের টুটি চেপে ধরার যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সারাদেশে বিরাজমান, সেই একই পথে হাঁটছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

তিনি অবিলম্বে শিক্ষার্থী স্বার্থবিরোধী, নিবর্তনমূলক শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ বাতিলসহ শিক্ষার্থী স্বার্থবিরোধী সকল কর্মকাণ্ড থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সরে আসার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় ছাত্র শৃঙ্খলা অধ্যাদেশে নতুন দুটি ধারা সংযুক্ত করা হয়। যেখানে অসত্য বা তথ্য বিকৃত করে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কোনও সংবাদ বা প্রতিবেদন স্থানীয়/জাতীয়/আন্তর্জাতিক প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক সংবাদ মাধ্যমে/সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ/প্রচার করা বা উক্ত কাজে সহযোগিতা করা এবং কোন ছাত্র-ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর উদ্দেশ্যে টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ই-মেইল, ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনও অশ্লীল বার্তা বা অসৌজন্যমূলক বার্তা প্রেরণ অথবা উত্যক্ত করতে পারবেন না বলে জানানো হয়।

অধ্যাদেশ মতে, ধারা দুটির ব্যত্যয় ঘটলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের চোখে ‘অসদাচরণ’ বলে গণ্য হবে এবং এজন্য লঘু শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা, সতর্কীকরণ এবং গুরু শাস্তি হিসেবে আজীবন বহিষ্কার, বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার, সাময়িক বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে যেকোনো পরিমাণ জরিমানার বিধান রাখা হয়। ধারা দুটি সংযুক্ত করার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মরত সাংবাদিক ও ছাত্র নেতাদের মধ্যে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর