নবগঠিত ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিতর্কিত ১৭ জন নয় বরং ৯৯ জন ব্যক্তি রয়েছেন বলে দাবি করেছেন নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিত ও বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থাকা বিতর্কিত ৯৯ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেন তারা। ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা বিতর্কিত নেতাকর্মীদের কমিটি থেকে বাদ দিয়ে যোগ্যদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কবি জসীমউদদীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ খান বলেন, `কমিটির বিষয়ে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। আমাদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ঘোষিত কমিটি থেকে বিতর্কিতদের সরিয়ে যোগ্যদের স্থান করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।’
‘কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমে ১৭ জনের নাম প্রকাশ করে আমাদের আন্দোলন যে যৌক্তিক তাই প্রমাণ করেছেন। এছাড়া আরও বিতর্কিত রয়েছেন, যাদের নাম ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছি।’
তিনি বলেন, `ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, যারা আন্দোলন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। তার কাছে বিনয়ের সঙ্গে জানতে চাই, যারা আমাদের বোনের ওপর হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে তিনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?’
প্রধানমন্ত্রী তাদের শেষ আশ্রয়স্থল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ, সংস্কার করার পরে যেন কমিটিতে আর বিতর্কিত কেউ স্থান না পায়। পরে যে কমিটি পুনর্গঠন করা হবে, তা যেন বানরের রুটি ভাগ করার মতো না হয়। ছাত্রলীগের ত্যাগীরা বঞ্চিত হবে, এই মতাদর্শে বিশ্বাস করতে চাই না।'
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন, সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশা, ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা সিকদার, তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।