মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

, ক্যাম্পাস

নোবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী | 2023-08-24 18:59:25

নোংরা, ময়লা-আবর্জনা ও মশা-মাছির উৎপাতে অতিষ্ঠ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে মশার উৎপাত বেড়ে যায়। ফলে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করতে পারেন না। এমনকি মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, প্রশাসনের উদাসীনতায় হলগুলোর পরিবেশ ও ড্রেনগুলো খুবই নোংরা হয়ে আছে। সেখানেই মশার বংশবৃদ্ধি হয়। ফলে দিনের বেলায়ও কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয় বা মশারির মধ্যে থাকতে হয়। তারপরও মশার উৎপাত থেকে রেহায় পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। এমনকি দিনে ক্লাস ও পরীক্ষার হলেও মশার উৎপাত বেড়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মশা নিধনের জন্য কোনো প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় বেড়েই চলেছে উৎপাত। মশার কামড়ে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। তাই দ্রুত মশা নিধনে প্রশাসনের যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ আব্দুস হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘মশার উৎপাতে ঠিকমতো পড়াশুনাও করতে পারছি না। সারাদিন ক্লাস-পরীক্ষা শেষে বিকাল এবং রাতে একটু শান্তিতে ঘুমানোরও উপায় নেই। এভাবে চলতে থাকলে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

হযরত বিবি খাদিজা হলের কয়েকজন আবাসিক ছাত্রী জানান, সর্বত্র মশার উৎপাতে কয়েল জ্বালিয়েও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। মশা নিধনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

এ বিষয়ে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট ও নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. গাজী মো. মহসীন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘মূলত ক্যাম্পাসের বাহিরের ডোবায় মশা জন্মাচ্ছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানি, ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকেও মশা জন্ম নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। আশা করি শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর