রাবিতে চলছে বর্ষবরণের জোর প্রস্তুতি

বিবিধ, ক্যাম্পাস

সাইফুল্লাহ সাইফ, রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-22 16:03:54

বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ' গানের সুরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে জোর প্রস্তুতি চলছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদে।

জানা গেছে, পহেলা বৈশাখে চারুকলা ঘিরেই থাকে মূল আয়োজন। শুধু তাই নয়, রাজশাহীর সবচেয়ে বড় শোভাযাত্রাটি বের হয় চারুকলা অনুষদ থেকেই। যার ফলে নববর্ষকে বরণ করতে শিক্ষার্থীরা গত চার-পাঁচ দিন ধরেই একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এবারের পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছে- ময়ূর, হাতি ও ঘোড়ার প্রতিকৃতি, যা ভিন্ন ভিন্ন বার্তা বহন করবে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চারুকলা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা সবাই ময়ূর, ঘোড়া ও হাতির প্রতিকৃতি তৈরির কাজে মগ্ন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে তারা গান, গল্প ও আড্ডায় মাতিয়ে রাখছেন সবাইকে। এছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রার অন্যতম উপকরণ মুখোশ। তবে রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবার এই মুখোশ বানানো হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কনক কুমার পাঠক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'বাংলা নববর্ষ বাঙালির শেকড়কে অনুসরণ করে। এবার একটু ব্যতিক্রম প্রতিকৃতি রাখা হয়েছে। যেমন- ঘোড়ার প্রতিকৃতি গতির বার্তা বহন করবে। এটি দীর্ঘদিন ধরে ঝিমিয়ে থাকা বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান গতিকে উপস্থাপন করবে। ময়ূরের নাচ ও রঙিন পালক উৎসবের রঙিন উচ্ছ্বাস-আমেজকে নির্দেশ করবে। আর হাতির প্রতিকৃতি বাংলাদেশের ধাবমান বৃহৎ অর্থনীতির বার্তা বহন করবে।'

তিনি আরও বলেন, 'মঙ্গল শোভাযাত্রা ছাড়াও চারুকলা অনুষদের আয়োজনে থাকবে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। মেলা চলাকালে সঙ্গীত, নৃত্য, নাটকসহ বাঙালিয়ানা উৎসবে মেতে থাকবে চারুকলা চত্বর।'

এ সময় তিনি সবাইকে বৈশাখী উৎসব পালন করতে চারুকলায় আসার আহ্বান জানান।

রাবির ভাস্কর্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুমন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানের দায়িত্ব থাকে চারুকলার শিক্ষার্থীদের ওপর। তাই আমাদের বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তবে আমরা এটা খুব উপভোগ করি। শিক্ষকরাও নিজ নিজ জায়গা থেকে সাহায্য করেন। আশা করছি এবারও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষ উদযাপন করা হবে।'

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সুমি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'পহেলা বৈশাখে কেমন মজা হবে তা এখনো বুঝতে পারছি না। কেননা এর আগে এভাবে নববর্ষ উদযাপন করার অভিজ্ঞতা হয়নি। তবে বড় ভাই, আপু ও শিক্ষকদের সঙ্গে কাজ করতে ভালোই লাগছে।'

এদিকে, চারুকলায় মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা পৃথক পৃথকভাবে বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা এরই মধ্যে মঞ্চ তৈরির জায়গা নির্ধারণ করেছেন। এখন চলছে চাঁদা তোলার পর্ব। সব মিলিয়ে নতুন বাংলা বছরকে বরণ করতে প্রস্তুত শিক্ষার্থীরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর