জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম নির্বাচন আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। কার্যনির্বাহী কমিটির ১০১টি পদের মধ্যে শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। প্রচারণা ছাড়াই লুকোচুরি করে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি কারচুপির আশঙ্কা করছেন একমাত্র সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দিতাকারী প্রার্থী এস এম সাদাত হোসেন।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার ব্যালট পেপার না ছাপিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের ওপর সে কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন। যা নিয়ম বহির্ভূত। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানোর আশঙ্কা করছি।’
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য তিনি নির্বাচনের কমিশনারের প্রতি আট দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবি গুলো হলো, নির্বাচনের আগের রাতে নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা গ্রহণ, ভোট কেন্দ্রে অতিরিক্ত কাগজ না রাখা, নির্দিষ্ট কক্ষে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণ, ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ভোটপ্রদানকারী ভোটারদের বাম হাত অমোচনীয় কালি প্রদান, ভোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাড়া অন্য কাউকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়া, নির্বাচনী কাজে দায়িত্বরতদের পরিচয়পত্র প্রদান, ব্যালট পেপার ছোট করা এবং প্রার্থীকে ভোটের কার্যক্রম ভিডিও করার ব্যবস্থা প্রদান করা।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে। গ্রুপটি পরিকল্পিতভাবে ১০১টি পদের মধ্যে ৯৯টি পদেই তার নিজস্ব প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করেছে। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের অ্যালামনাই এসোসিয়েশন সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে আগ্রহ হারাচ্ছে।’
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এস এম বদিয়ার রহমান বলেন, ‘এ ধরনের কোন লিখিত অভিযোগ কেউ করেননি। যদি কোন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর কেউ কারচুপির আশঙ্কা করলে তো আর কারচুপি প্রমাণিত হয় না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’
উল্লেখ্য, জাবি এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নির্বাচনে মোট ৭৪২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।