প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নির্বাচন হচ্ছে: সাবেক ভিপি

বিবিধ, ক্যাম্পাস

রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 05:18:59

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনটা সকলের চাওয়া ছিল। এই নির্বাচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি যেমন কথা বলেছেন, তেমনি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। শেষ পর্যন্ত ২৮ বছর পরে ডাকসু নির্বাচন হওয়ায় সবাই খুশি বলে জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারুজ্জামান।

রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানান। আখতারুজ্জামান দুইবার ডাকসুর জিএস ও একবার ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ডাকসু তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা হোক সেটা সকলে চেয়েছিল। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট নির্বাচন হয়, সিন্ডিকেট নির্বাচন হয়, ডিনস নির্বাচন হয়, শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয়, কর্মচারীদের নির্বাচন হয়। তাহলে শুধু ডাকসু নির্বাচনটা কেন হবে না? রাষ্ট্রপতি দু’বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছেন। দু’বারই কিন্তু জনসম্মুখে এই বিষয়টা তুলে ধরেছেন। কাজেই এটা সকলের দাবি ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই যে ২৮ বছর পর নির্বাচন হচ্ছে এতে আমরা অত্যন্ত খুশি। এবং সকল ছাত্র সংগঠন সুষ্ঠুভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নির্বাচনটা করছে এটা খুবই আনন্দের দিক। আশা করি নির্বাচনটা শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হবে।’

ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ নিয়ে জানতে চাইলে আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা দেখছি যে এটাই ডাকসু নির্বাচনে প্রত্যাশিত। এটাই হওয়া উচিত ডাকসু নির্বাচনে। কারণ ডাকসু গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। ছাত্র সমাজের অধিকারের কথা তুলে ধরে, অধিকার বাস্তবায়ন করে , ছাত্র ছাত্রীদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। এর মধ্যে লাইব্রেরির সমস্যা, হলের সমস্যা, ডায়নিংয়ের সমস্যা, একাডেমিক সমস্যা, পরীক্ষার সমস্যা এবং ভবিষ্যত কর্মজীবনে চাকরীর ক্ষেত্রে যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে, তর্ক বিতর্ক অনুষ্ঠানে, নাট্যজগতে নেতৃত্ব গড়ে তোলা এই সকল কাজ নিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ। সুতরাং নিশ্চয়ই আমরা আশা করি শহীদ মিনার, মধুর ক্যান্টিন, অপরাজেয় বাংলা, কলা ভবন , অডিটোরিয়াম, টিএসসিসহ সব জায়গায় যার যার সৃজনশীলতা নিয়ে আবার নতুনভাবে মুখরিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।’

ভোটার ও প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা আগে ডাকসুর নেতৃত্ব দিয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ঐতিহ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সম্মান আছে। আগামী দুইবছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একশ বছর পূর্তি হবে। এটা একটা ঐহিত্যবাহী বিষয়। কম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয় একশ বছর পূর্তি করতে পেরেছে। তার মানে আমাদের একটা বিশাল বড় ১০০ বছরের একাডেমিক, রাজনৈতিক, কালচারাল ঐতিহ্য আছে। ভারত উপমহাদেশের রাজনীতি, পাকিস্তান আমলের রাজনীতি এবং ব্রিটিশ আমলের রাজনীতি স্বাধীনতা পরের রাজনীতির একটা ইতিহাস ও স্বাক্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কাজেই ছাত্ররা তাদের অতীত ঐতিহ্যকে আগামী নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ধরে রাখবে এটাই আমার প্রত্যাশা।’

উল্লেখ্য, ২৮ বছর পর আগামী ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর