ডাকসুর ভোটকেন্দ্র নিয়ে গণভোট চায় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ

বিবিধ, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 03:22:14

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের 'ভোটকেন্দ্র হলের ভেতরে নাকি একাডেমিক ভবনে হবে' এ নিয়ে গণভোটের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাবটি দিয়েছে, ২০১২ সালে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ৷

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব দেন মঞ্চের অন্যতম মুখপাত্র মওদুদ মিষ্ট৷ ডাকসুকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকারের পক্ষে কথা বলার ও লড়াই করার প্লাটফর্ম হিসেবে দেখতে চায় সংগঠনটি৷

মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচন বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন৷ সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতেই এবারের ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মওদুদ মিষ্ট৷ লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, '২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ডাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে আমরা ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম৷ মাসের পর মাস ধরে চলা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের মৃতপ্রায় ডাকসু ইস্যুটিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছিলাম আমরা৷ ২০১২ সালে করা রিটের আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আমরা উকিল নোটিশ পাঠিয়েছিলাম৷ সেই নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য দুই দফায় সময় বাড়ানো হলেও প্রশাসন তার জবাব দেয়নি৷ তারপর যখন রিট করা হলো, কয়েক দফা সময় বাড়ানো হলেও তারও জবাব দেওয়া হয়নি৷ স্বৈরাচার কর্তৃপক্ষ তখন পরিবেশের দোহাই দিয়েছিল৷'

ডাকসুর সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বয়ং নিজ হাতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের খপ্পরে ঠেলে দিচ্ছে বছরের পর বছর৷ ভোট নিয়েও শঙ্কার শেষ নেই৷ আদতে ভোট হবে তো? নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক না হলে শিক্ষার্থীদের উচ্ছলতা হতাশায় নিমজ্জিত হবে৷ বলা হচ্ছে-ডাকসু শিক্ষার্থীদের সংগঠন৷ অথচ এর চূড়ান্ত ক্ষমতা উপাচার্যের হাতে৷ ডাকসুর গঠনতন্ত্র উপাচার্যের বিধিনিষেধে ভরপুর৷ এটি মুক্তচিন্তা ও জ্ঞানচর্চার প্রতিবন্ধক৷'

সংবাদ সম্মেলনে রিটকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, 'একদিন আমার চেম্বারে ২০-২৫ ছাত্র গিয়েছিলেন। তখন তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনলাম। যখন ছাত্ররা গেলেন, একটা রিট করার প্রশ্ন এল৷ তখন আমি তাদের বললাম, আমি যেহেতু জনস্বার্থে কাজ করি,আপনাদের রিট পিটিশনটা নিজের পয়সায় করব। তাদের কাছ থেকে আমি কোনো ফি চাইনি৷ ২০১২ সালে মামলা করার পর থেকে ২০১৮ সালে রায় হওয়া পর্যন্ত ছয় বছর মামলাটি আমরাই চালিয়েছি। রায়ে পুলিশের মহাপরিচালককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার প্রয়োজনে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে৷ তাই কোনো অজুহাত দেখিয়ে যেন না বলা হয় যে ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ নেই।'

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ২০১২ সালে শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চে সক্রিয় থাকা নূর বাহাদুর, তোয়াহা ফারুক, কাজী তৌফিক ইমাম, সাদমান সাকিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷

এ সম্পর্কিত আরও খবর