ইবিতে সেহেরির মান নিয়ে দুশ্চিন্তা

, ক্যাম্পাস

ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-03-11 14:26:13

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পবিত্র রমজান উপলক্ষে ৪০ দিনের ছুটি শুরু হয়েছে আজ। পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগের পরিক্ষা, ল্যাব ও আনুষঙ্গিক কিছু কারণে আবাসিক হলগুলো ও পার্শ্ববর্তী মেসে থেকে যেতে হয়েছে অনেক শিক্ষার্থীদের। সেহেরিতে হলের খাবারের পুষ্টিমান কতটা বজায় থাকবে তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা। তবে ডাইনিং ম্যানেজাররা খাবারের দাম ১০ টাকা বৃদ্ধির মাধ্যমে মান ভালো থাকবে বলে জানিয়েছেন।

সোমবার (১১ মার্চ) পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর ও বিভিন্ন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ল্যাব এবং পরীক্ষা চলমান থাকায় হলসমূহ খোলা থাকছে। ফলে শিক্ষার্থীদের অনেকেরই হলে অবস্থান করতে হচ্ছে। ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীদের মনে সেহেরির খাবার মান নিয়ে তৈরি হয়েছে দুশ্চিন্তা। দাম বৃদ্ধি করা হলেও মান আদৌ বৃদ্ধি হবে কি না সেই প্রশ্ন সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

সেহরির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বোরহান কবির বলেন, বাঙালিদের কাছে রমজান মাস মানে ব্যবসার মাস। এই ধারাবাহিকতা হলের ডাইনিংইয়েও রয়েছে। রমজান মাসে খাবারের দাম বাড়ালেও খাবারের মান বাড়ে না। ছাত্ররা এক প্রকার বাধ্য হয়েই বেশি দাম দিয়ে এই খাবার খেয়ে থাকে। প্রশাসনের উচিত এই দিকে নজর দেওয়া, প্রয়োজনে ভর্তুকি বাড়ানো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আকতার হোসেন বলেন, আমি আশা করি রমজানে ডাইনিং এর খাবারের মান ভালো থাকবে। ছেলেরা যেন ভালোমতো রোজা রাখতে পারে এবং কোনো ধরণের অভিযোগ যেনো না আসে সেদিকে আমরা সার্বক্ষণিক তদারকি করবো। কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই প্রভোস্ট অফিসে এসে জানাতে হবে এবং আমাদের দৃষ্টিগোচর হলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিবো।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিয়া মো. রাসিদুজ্জামান বলেন, আমাদের প্রভোস্ট কাউন্সিল থেকে গতবার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো সেটাই আপাতত দেয়া হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে আমরাই কনফিউজড হয়ে গেছি আসলে। চেষ্টা করে দেখছি গতবারের যে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো সেভাবে দিয়ে মান নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় কি না। আর আশা করি খাবারের মান ভালো থাকবে। কোনোপ্রকার বাসি খাবার বা অপরিচ্ছন্ন খাবার পরিবেশন করা হবে না।

জানতে চাইলে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি এবং সাদ্দাম হোসেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান জানান, খাবারের মেনু আগে যা ছিলো তাই থাকবে। তবে সেহেরিতে এক্সট্রা এক গ্লাস দুধ ২০ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যাবে।

খাবারের মান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রভোস্টরা মিলে খাবারের মান যাচাই করার জন্য টিম করে ভিজিট করবো। আশা করি খাবারের মান ভালো থাকবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর