৫ দফা দাবিতে 'নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর'-এর সংবাদ সম্মেলন

, ক্যাম্পাস

মাহমুদুল হাসান (জাবি প্রতিনিধি) | 2024-03-07 20:49:50

ধর্ষণে অভিযুক্ত ও পলায়নে সহযোগিতাকারীদের রাষ্ট্রীয় আইনে দ্রুততম সময়ে বিচার নিশ্চিত ও বহিষ্কৃত ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবিতে 'নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় টিএসসির কনফারেন্স রুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সভাপতি আশফার রহমান নবীন বলেন, ধর্ষণে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে পালাতে সহায়তার অভিযোগ আছে এম এইচ হল ও রবীন্দ্রনাথ হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। র‍্যাবের তদন্ত থেকে বের হয়ে আসে কী করে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার জন্য নিরাপদ জায়গা মনে করে জাবির হলগুলোকে।

তিনি লিখিত বিবৃতিতে আরো বলেন, ছাত্রলীগের নেতারা ব্যাচভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইয়াবার সিন্ডিকেট চালায়। এই সব ঘটনা জানার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অথচ গ্রাফিতি আঁকার অভিযোগে ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতাকে তিনদিনের মধ্যে বেআইনিভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

প্রশাসন নিপীড়ক জনিকে শাস্তি দিতে দুই বছর পার করে ফেলে আর 'ধর্ষণ বিরোধী' গ্রাফিতি আঁকার অভিযোগে দুইজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে দেয় তিনদিনের মধ্যে। সেই তদন্ত কমিটির মধ্যে আবার ছিল আরেক নিপীড়ক কাফি।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আবাসন সংকটের বিষয়ে দেখা যায় অছাত্ররা হলের মধ্যে বছরের পর বছর রুম দখল করে রাজত্ব করছে। আর সম্পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচের পর ব্যাচ শিক্ষার্থীরা গণরুমে, গেস্টরুমে অত্যাচারিত হন। তাদের মগজকে স্বৈরাচারের তাবেদার বানানোর কর্মসূচি চলতে থাকে। এই অছাত্রদের বের করতে প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া আর কোনো অপ্রয়োজনীয় ভবন হতে দেওয়া হবে না।

নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- মীর মশাররফ হোসেন হল ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রাধ্যক্ষসহ হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে আসা ধর্ষণে অভিযুক্তকে পলায়নে সাহায্য করার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুততম সময়ে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আবাসিক হলগুলি থেকে মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট উৎখাত করতে হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব অছাত্রকে হল থেকে তাড়াতে হবে। সেইসঙ্গে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি প্রক্টর ও নিরাপত্তা শাখার বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা আগামী রোববার (১০ মার্চ) বিকেল ৩টা থেকে ট্রান্সপোর্ট চত্বরে একটি সংহতি সমাবেশের ঘোষণা করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর