কুবি শিক্ষক সমিতির বাধায় স্থগিত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

, ক্যাম্পাস

কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-03-06 18:13:12

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় বাধা দিয়েছে কুবি শিক্ষক সমিতি। সকাল দশটায় শুরু হওয়া এই পরীক্ষা পরে বেলা দেড়টায় স্থগিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল দশটায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে দশটায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। এর আগে সকাল দশটার দিকে এই লিখিত পরীক্ষা বন্ধ করতে কুবি শিক্ষক সমিতির সদস্যরা উপাচার্যের কক্ষে প্রবেশ করেন।

এরপর সাড়ে দশটায় উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনের ৪১১নং কক্ষে হওয়া পরীক্ষা হলে গেলে সেখানে শিক্ষক সমিতির সদস্যরাও প্রবেশ করেন। এ সময় তারা এই নিয়োগ পরীক্ষা অবৈধ ও প্রশ্ন ফাঁস করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুষদের ডিন ও বিভাগটির বিভাগীয় প্রধানের অনুপস্থিতিতে এই পরীক্ষা কোনোভাবে বৈধ নন বলেও অভিযোগ করেন।

এ সময় পরীক্ষা বোর্ড কমিটির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান। এর বাইরে দুইজন এক্সটার্নালের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন একজন। এবং কমিটির দুই সদস্য ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার অনুপস্থিত ছিলেন।

নিয়োগ পরীক্ষায় বাধা দেয়ার বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, আসলে বাধা না, আমরা অবৈধ এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে চেয়েছি। নিয়োগ সার্কুলারও তো নীতিমালা বিরোধী, আজকের এই পরীক্ষার প্রক্রিয়াও প্রশ্নবিদ্ধ৷ কোনো প্রকার খাম ছাড়াই খোলা প্রশ্ন একজন কমিটির বাইরের লোককে দিয়ে পরীক্ষার হলে নিয়ে এসেছেন৷

নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত না থাকা প্রসঙ্গে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান বলেন, ‘প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সাধারণ শিক্ষকেরা ক্ষুব্ধ। যেহেতু সাধারণ শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হচ্ছে শিক্ষক সমিতি এবং শিক্ষক সমিতির যে সেন্টিমেন্ট তার সাথে অন্যান্য সকল সাধারণ শিক্ষকের মতোই আমিও একমত। সেজন্যই আমি বোর্ডে যাই নি। যদি বিদ্যমান যে সকল সংকট আছে সেগুলো সমাধান করা হয় তবে আমি বোর্ডে যাবো। আর যতদিন এইসকল সমস্যার সমাধান হবে না, আমি বোর্ডে যাবো না।'

একই বিষয়কে ডিনকে ফোন কল দিলে তিনি অফিসে এসে কথা বলতে বলেন। পরবর্তীতে অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতে বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষক সমিতি যে প্রশ্ন ফাঁসের যে অভিযোগ এনেছে তা পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট।

এ সম্পর্কিত আরও খবর