ভর্তি পরীক্ষার্থী ২৬ জন, পাশের তালিকায় ২৭

, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-02-10 18:08:04

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের অনিয়মিত স্নাতকোত্তর কোর্স ‘প্রফেশনাল মাস্টার্স ইন জাপানিজ স্টাডিজ' (পিএমজেএস) এর পরীক্ষায় ২৬ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দিলেও পাশ করেছেন ২৭ জন।

জানা যায়, ২২ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় পিএমজেএসের এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন বেলা আড়াইটায় লিখিত পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর মৌখিক পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও, লিখিত পরীক্ষার ঘণ্টাখানেক পরেই মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরে চূড়ান্ত ফলাফলে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ওই ২৬ জনের সঙ্গে অতিরিক্ত একজনের নাম প্রকাশিত হয়। ওই ২৭ জনকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত ২১ জন ভর্তি হন। 

রেজিস্ট্রার ভবনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ই-মেইলে ভর্তি পরীক্ষার্থী হিসেবে ২৬ জনের নাম থাকলেও ফলাফলে আরও একজনের নাম রয়েছে। ২৬ জনের বাইরে পাশের তালিকায় যে একজনের নাম রয়েছে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিঠু চন্দ্র শীল। 

এ ব্যাপারে মিঠু চন্দ্র শীল বলেন, আমি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়েই পিএমজেএসে ভর্তি হয়েছি।

বিভাগের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন, ২২ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটায় লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর মৌখিক পরীক্ষা নেন তারা। মিঠু চন্দ্র শীল অসুস্থ ছিলেন, তাই তার পরীক্ষা ২২ ডিসেম্বর মৌখিক পরীক্ষার পরপর নেওয়া হয়। এ ছাড়া আরও যারা অসুস্থ ছিলেন, তাদের পরীক্ষা এক সপ্তাহ পর নেওয়া হয়। পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তেই এটি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, নতুনভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের স্নাতকোত্তর কোর্স শুরু হওয়ার পর এটাই প্রথম ব্যাচ। নিয়ম মেনেই পিএমজেএসের ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ভর্তি পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখের পরে আলাদাভাবে কারও পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। এমন কিছু ঘটে থাকলে আমিসহ উপাচার্যের (শিক্ষা) সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলবো।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদসহ দেশের বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সান্ধ্য কোর্সসহ অনিয়মিত সব কোর্সে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে সান্ধ্য কোর্স পরিচালনার সময়োপযোগী বিধিমালা প্রণয়নে একটি কমিটিও করা হয় সেদিন। ২০২২ সালের ২১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে ওই কমিটির তৈরি করা একটি বিধিমালা অনুমোদিত হয়। এক সপ্তাহ পর সামান্য সংশোধন সাপেক্ষে সিন্ডিকেটেও অনুমোদিত হয় সেটি। নতুন সেই বিধি অনুযায়ী এটিই এ ধরনের স্নাতকোত্তর কোর্সের প্রথম ব্যাচ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর