পূর্ব ঘটনার জেরে কুবি শিক্ষার্থীদের মারধর

, ক্যাম্পাস

কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুমিল্লা | 2024-02-04 12:06:57

পূর্ব ঘটনার জেরে ধরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় যুবকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কুবির একজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোটবাড়ির বোর্ড মার্কেটের বিপরীতে এই ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোটবাড়ী বোর্ড মার্কেট সংলগ্ন মামুন স্টোর নামক একটি দোকানের সামনে কয়েকজন স্থানীয় ছেলে বসে ছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজনের সাথে কথা কাটাকাটি থেকে মারামারির ঘটনা ঘটে।

মারামারির ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী নাম ওবায়দুল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী। ঐ শিক্ষার্থী নাকে আঘাত পেলে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একই সময় দয়াল সাহা, রোহিত পালসহ ওবায়দুল্লাহ আরো বেশ কয়েকজন সহপাঠীকে মারধর করেন তারা। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে মারধর করা ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের নাম পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। ঐ ব্যক্তির নাম রাসেল খান। তিনি কুমিল্লার লালমাই সরকারি কলেজের একজন শিক্ষার্থী। তিনি কুমিল্লার নাজিরা বাজার এলাকায় থাকেন এবং নিয়মিত কোটবাড়ী বোর্ড মার্কেট এলাকায় আড্ডা দেন বলে জানান।

উপস্থিত স্থানীয়রা এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ওবায়দুল্লাহ বলেন, 'কিছুদিন আগে আমাদের সিনিয়র আপুর মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিলো। তাদেরকে শনাক্ত করে তাদের কাছে গিয়েছিলাম। কেন তারা এমন করেছে জিজ্ঞেস করতে আর এরকম যেন কখনো না করে সেটা বলতে। তখন তারা সেই ছিনতাইকারীসহ তিন জন ছিল আমাদের সাথে কথা বলার সময়। তারা ফোন দিয়ে ১০-১২ জনকে ডেকে নিয়ে আসে এবং আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমাদের সাথে থাকা দুই তিনজন ছিল, তখন সবাইকে তারা মারধর করেছে।'

পূর্বের ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে রাসেল খানসহ আরও কয়েকজন মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও ফোন ছিনতাই করে। পরবর্তীতে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীরা রাসেল খানকে চিনতে পারলে তার কাছে এসে ছিনতাই করা টাকা ও মোবাইল ফোন ফেরত চান। তখন কথা কাটাকাটি হয় এবং পরবর্তীতে মারামারির ঘটনা ঘটে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. জাহিদ হাসান বলেন, 'ঘটনা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে।'

এ বিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসএম আরিফুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তের পরই সব কিছু বলা যাবে।'

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর