চবিতে শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন

, ক্যাম্পাস

চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-02-01 16:32:10

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিজ্ঞান অনুষদের রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। এরআগে অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে আয়োজিত এই মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর আগে একই দাবিতে সকাল দশটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত বিভাগের সভাপতির কক্ষের সামনেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত রয়েছেন।

জানতে চাইলে বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সাজিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা সেই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধনে নেমেছি। যতদ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যা ঘটেছে তা আমাদের বিভাগের জন্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।

সাবিহা নামের চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, স্যারকে বিভাগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হোক। আমরা কিছুদিন পর ওই সেশনে যাব, যদি আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে আমরা কোথায় পড়ালেখা করতে আসছি? আমরা শেষ পর্যন্ত এই শিক্ষকের বহিষ্কার দেখতে চাই।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশিষ পালিতের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আজ বেলা সাড়ে ১১টায় একাডেমিক কমিটির সকল শিক্ষক মিলে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনায় বসেছি। কিন্তু আমাদের একটা সীমাবদ্ধতা আছে, কারণ আমাদের সব কিছুর অভিভাবক হচ্ছেন উপাচার্য। তিনিই বড় সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে থাকেন। তবে আমরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যতদিন পর্যন্ত তদন্তের কাজ শেষ না হয় ততদিন পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’

অভিযোগ সত্যতার ব্যাপারে জানতে চাইলে দেবাশিষ পালিত বলেন, এটা আমরা শুনেছি, তবে তদন্ত করা ছাড়া সত্যতার ব্যাপারটা বলা যাচ্ছে না। আজ এটা নিয়ে উপাচার্যের সাথে মিটিং হবে তখন বোঝা যাবে। তবে আমরা অভিযোগটা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।

গতকাল বুধবার দুপুরে উপাচার্য শিরীণ আখতারের কাছে এক শিক্ষার্থী নিজ বিভাগের এক অধ্যাপক সম্পর্কে লিখিতভাবে যৌন হয়রানি, যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেন।

তবে অভিযুক্ত অধ্যাপক অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন। ৩১ বছরের শিক্ষকতার জীবনে এ ধরনের কাজের সাথে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর