চবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

, ক্যাম্পাস

চবি করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2024-01-10 16:08:08

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে.এম. নুর আহমদের সভাপতিত্বে ও প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেণু কুমার দে।

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাটি জীবন বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন। পরিবারের দিকে ও নিজ সুখ শান্তির দিকে তাকান নি। সেই বাল্যকাল থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন এবং বাঙালি জাতিকে মুক্তির সনদ পৌঁছে দিতে কোনদিনও পিছ পা হন নি। ১৬ ডিসেম্বর এই দেশ হানাদার মুক্ত হলেও সেই মুক্তি সম্পূর্ণ হয় নি, কারণ তখনও আমরা জানতাম না জাতির পিতা কোথায় আছেন। তাই ১০ই জানুয়ারি যখন বঙ্গবন্ধু দেশে প্রত্যাবর্তন করলেন দেশ তখন পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা লাভ করলো।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময়ে আমাদের অনেক কিছুই দিয়েছেন তার মধ্যে নয় মাসে একটি লিখিত সংবিধান দিয়েছেন। বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি তখন অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। শিক্ষকদের তিনি অনেক সম্মান করতেন এবং চারটি বিশ্ববিদ্যালয় কে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করেছিলেন। তিনি এটা বুঝতে পেরেছিলেন বিদ্যালয়গুলো থেকেই একদিন বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রীরা বের হবেন। রাজনীতি ব্যবসার জায়গায় যাবে না, রাজনীতি থাকবে রাজনীতির জায়গায়। এই কারণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা ৭৩এর আইনকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী তারা কখনো ৭৩এর আইনকে অমান্য করতে পারি না। সেটা আমাদের বিশ্বাস ও ভালোবাসার জায়গা কেউ যদি বলেন আমরা এটাকে অনেক সময় না মেনে চলছি এটা ভুল কথা আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে কিছু করার সময় এই আইনটি মেনে চলি।

চবি উপাচার্য বলেন, আমরা চিন্তাভাবনা করেই এগোতে চেষ্টা করি, তাই আমি বলব ভুল বোঝাবুঝির মধ্যে থাকলে হবে না। আপনারা আসুন, বসুন, এবং দেখুন বঙ্গবন্ধু ৭৩ এর যে আইন প্রণয়ন করেছিলেন আমরা তার কোনো ব্যত্যয় ঘটাচ্ছি কিনা। দূরে থাকলে ভুল বোঝাবুঝি বেড়ে যাবে। আমি বিশ্বাস করি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়ে যায়। যেমন করে বঙ্গবন্ধু দেশে প্রত্যাবর্তন করে অমানিশার ঘর অন্ধকার কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বিশ্বাসটা বাংলাদেশের মানুষের মনে প্রথিত করেছিলেন তেমনি করে আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে তার আদর্শকে ধারণ করে।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়া, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর