জবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন মঙ্গলবার

, ক্যাম্পাস

জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-12-18 19:27:21

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর)। আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা দুইটি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনে। অপরদিকে বিগত কয়েক বছরের মত এবারও নির্বাচন থেকে বিরত থাকছেন বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা। নির্বাচনে অংশ না নিলেও ভোটে থাকছেন সাদা দলের শিক্ষকরা। আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দুই প্যানেলের জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে এই ভোটগুলো।

জানা যায়, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২.৩০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে। ভোট গণনা শেষে বিকালে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

এবারের নির্বাচনে ছয়টি পদের বিপরীতে মোট ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এদের মধ্যে সভাপতি পদে একজন, সহ-সভাপতি পদে একজন, সাধারণ সম্পাদক পদে একজন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে একজন, কোষাধ্যক্ষ পদে একজন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১০ জন শিক্ষক নির্বাচিত হবেন। মোট ৬৬৭ জন শিক্ষক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দুইটি নীলদল, স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজ এবং জয় বাংলা শিক্ষক সমাজ সহ মোট চারটি সংগঠন রয়েছে।

নির্বাচনে নীলদল (ড. ছিদ্দিকুর-ড. মনিরুজ্জামান কমিটি) এবং স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে 'জাকির-হাফিজুল' প্যানেল এবং নীলদল (ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ-ড. মমিন উদ্দীন কমিটি) 'আশরাফ-মাশরিক' প্যানেল ঘোষণা করেছেন।

'জাকির-হাফিজুল' প্যানেল থেকে সভাপতি পদে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে 'আশরাফ-মাশরিক' প্যানেল থেকে সভাপতি পদে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ-উল-আলম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ফিন্যান্স বিভাগের ড. শেখ মাশরিক হাসান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এবারের নির্বাচনে সাদা দলের ভোটার সংখ্যা প্রায় দেড়শত বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। শিক্ষক সমিতির নেতৃত্ব নির্ধারণে পরোক্ষ ভূমিকা রাখবেন সাদা দলের শিক্ষকরা। তাই ভোটগুলো আদায়ে সাংগঠনিক আদর্শের জায়গা থেকে বের হয়ে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিকে কাজে লাগাচ্ছেন অধিকাংশ প্রার্থী। অনেকে আবার ভোট নিশ্চিত করতে সাদা দলের ভোটারদের নানারকম সুযোগ সুবিধা প্রদানের আশ্বাস দিচ্ছেন।

জবি সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন বলেন, আমরা প্যানেল না দেওয়া এবং নির্বাচন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে শিক্ষকরা ভোট দিবেন নির্বাচনে। কারণ ভোটদান সবার ব্যক্তিগত বিষয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছগীর হোসেন খন্দকার বলেন, ইতিমধ্যেই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি ঠিকঠাকভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা নেই।

এ সম্পর্কিত আরও খবর