চবি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি

, ক্যাম্পাস

চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2023-12-18 17:29:27

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ লঙ্ঘন, প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ এবং দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে চলমান ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন চবি শিক্ষক সমিতি। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আব্দুল হকসহ প্রায় ৭০ জন শিক্ষক।

চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আব্দুল হক এ ব্যাপারে বার্তা২৪ কে বলেন, সিন্ডিকেট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পর্ষদ। এই পর্ষদের কয়েকটি পদ দীর্ঘদিন থেকে খালি আছে। আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে অনেক দিন যাবত বলে আসছি, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। কারণ পরিপূর্ণ সিন্ডিকেট গঠন হলে হয়তো উনি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হবেন, এজন্য পদগুলো খালি রেখে দিয়েছেন।

কিন্তু ৭৩ এর আইন অনুযায়ী যত দ্রুত সম্ভব এই পদ গুলো পূরণ করতে বলা হয়েছে, অথচ এই নিয়মটি তিনি লঙ্ঘন করেছেন। আর এই সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য অনেকগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে অধিকাংশই ছিল নিয়োগ সম্পর্কিত।

তিনি আরও বলেন, সিন্ডিকেটে যারা আছে তাদের অধিকাংশই প্রশাসনের আজ্ঞাবহ ব্যক্তি, সেখানে কোনো শিক্ষক প্রতিনিধি না থাকায় তারা তাদের খেয়াল খুশিমত নির্বাচনী বোর্ড গঠন করেছেন ও বিভাগের প্ল্যানিং কমিটি না চাইলেও উপাচার্য শিক্ষক নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে চলমান ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আজকে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি।

উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন নেই মর্মে পরিকল্পনা কমিটি থেকে দেওয়া সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে সম্প্রতি বাংলা বিভাগে ৭ জন ও আইন বিভাগে ২ জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। অভিযোগ উঠেছে, উপাচার্য তার একক ক্ষমতাবলে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এ প্রক্রিয়াকে চবি শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকরা ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ এর লঙ্ঘন বলে দাবি করছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর