কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবাহী বাসে অতর্কিত হামলা

, ক্যাম্পাস

কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা | 2023-11-30 00:48:16

শহর থেকে ক্যাম্পাসগামী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নীল বাসে অতর্কিত হামলা করেছেন দুর্বৃত্তরা। আগেরদিনের একটি ঘটনার জেরে এই হামলা হয়েছে বলে ধারনা করছেন বাসচালক ও হেল্পারসহ সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কুমিল্লা শহরের এখানে এই ঘটনা ঘটে৷ এইসময় শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের একজনকে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে নিয়ে চলে আসেন।

প্রক্টরিয়াল বডি সূত্রে জানা যায়, বাসচালক সুমন দাস ও হেল্পার মো. জহিরুল ইসলামসহ প্রায় সাতজন শিক্ষার্থী এ সময় আহত হন।

তুলে আনা ঐ হামলাকারীর নাম মো. রাকিব। তিনি  বিশ্বরোড ও টমছমব্রিজ এলাকায় অটোরিক্সা চালান। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। তার পিতার নাম মো.রুহুল আমিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে পুলিশের উপস্থিতি এসব তথ্য দেন হামলাকারী ব্যক্তি।

এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, কুমিল্লা-স ১১০০-৩২ নম্বরের নীল বাসটি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ থেকে কান্দিরপাড় হয়ে টমছম ব্রিজের দিয়ে যাওয়ার সময় অগ্রণী ব্যাংকের সামনে আসে। এই সময় একটি বলাকা বাস আমাদের বাসকে আটকায়। তৎক্ষনাৎ ২৫ থেকে ৩০ জন লোক বাঁশ, রড, স্টিলের পাইপ, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাস ঘেরাও করে শিক্ষার্থীদের নামার জন্য বলে। শিক্ষার্থীরা না নামায় বাস ভাঙ্গার চেষ্টা করে। 

তারা বাসের হেডলাইট, লুকিং গ্লাস এবং সামনের দরজার কাঁচ ভেঙ্গে ফেলেন। একসময় শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের প্রতিহত করতে নামলে তারা পালিয়ে যেতে থাকে৷ তাদের একজনকে এ সময় ধরে বাসে তুলে ফেলেন শিক্ষার্থীরা।

বাসচালক ও হেল্পারের মাধ্যমে জানা যায়, গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় শহরের টমছমব্রীজ থেকে বাস ইউটার্ন নেওয়ার জন্য হেল্পার জহিরুল বাস থেকে নেমে সামনের অটোগুলোকে সরতে বললে তাদের কয়েকজন দুইজনের গায়ে হাত তোলে। তখন বাসে থাকা শিক্ষার্থী তাদের উদ্ধার করেন।

ঘটনার জেরে বুধবার সন্ধ্যায় বাসটি একই স্থানে গেলে প্রায় অর্ধশত লোক শিক্ষার্থীবাহী বাসটিতে হামলা চালালে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের একজনকে বাসে উঠিয়ে নেন। তাকে রাত ১০টার দিকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘যে সকল শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি এবং যে ব্যক্তিকে শিক্ষার্থীরা তুলে নিয়ে এসেছে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি মামলা করে তাহলে আমরা তদন্ত শুরু করবো।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমার সিদ্দিকী বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ আহত শিক্ষার্থীদের ও তুলে আনা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সর্বশেষ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে তুলে আনা ব্যক্তিটি।'



এ সম্পর্কিত আরও খবর