শেকৃবিতে ১২ শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ

বিবিধ, ক্যাম্পাস

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-11-12 13:51:09

 

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) নতুন ব্যাচের (২২তম) ১২ শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ লুৎফর রহমান হলের ৪১৯ নং কক্ষে এসব শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিং করা হয় বলে অভিযোগ এসেছে।

ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী জানান, রাত ১১টা ৪৮ মিনিটে তাদেরকে শেখ লুৎফর রহমান হলের ৪১৯ নং কক্ষে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর রাত ৪টা পর্যন্ত তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীতে এসব শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে অভিযোগ করতে চাইলে তাদেরকে নিয়ে শুক্রবার রাতে বৈঠকে বসেন ২১তম ও আগের ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী। এসময় উপস্থিত সিনিয়ররা সব ঘটনা শুনে এ ধরনের র‌্যাগিং আর হবে না বলে আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং প্রভোস্ট বরাবর কোনো অভিযোগ না দিতে বলেন।

তারা আরও উল্লেখ করেন, নির্যাতনকারী হিসেবে ওই রুমে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম ব্যাচের কয়েকজন ছাত্র। তারা শেখ লুৎফর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তারা হলেন- জাহিদ (রুম- ৪১৯), রাসেল (রুম- ৩২৪), শরীফ (রুম- ৩২৪), নিলয় (রুম- ৩২৪), ফারহান (রুম- ৪২৭), রাফি (রুম- ৪১৩), মারুফ, আতিক (রুম- ৪২১), শাহরিয়ার (রুম- ৩২৬), সাকিব, তারেক (রুম- ৫০৮), রায়হান, নাহিদ হাসান নাহিদ (রুম-৪২১) ও আব্দুল্লাহ আল মারুফ।

ভুক্তভোগী আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের মধ্যে রাসেল আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। আমাদের সঙ্গে যে অমানবিক আচরণ করেছে, ভেবেছিলাম সে বিষয়ে পুলিশে জানাবো। পরে সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেই প্রক্টর অফিসে অভিযোগ দেবো। এরপর শুক্রবার রাতে সিনিয়ররা নানাভাবে চাপ দেওয়ার কারণে আমরা প্রক্টর অফিসেও জানাতে পারছি না।

অভিযুক্ত এক শিক্ষার্থী অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমদের মধ্যে একটু সমস্যা হয়েছিল, সেটা সমাধান হয়ে গেছে। আমাদের ক্যাম্পাসে যে বঙ্গ (আঞ্চলিকতা) সিস্টেম আছে সেখানে একটু ঝামেলা চলছিল। জুনিয়ররা ম্যানার মানতেছিল না। আমাদের সঙ্গে দেখা হলেও ঠিকমতো কথা বলতো না। বঙ্গের বিভিন্ন প্রয়োজনে ডাকলেও তাদের পেতাম না। তাই তাদেরকে নিয়ে একটু বসতে চেয়েছিলাম। তবে গায়ে হাত তোলার বিষয়টি অতিরঞ্জিত করে বাড়িয়ে বলছে।

এ বিষয়ে শেখ লুৎফর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আনিসুর রহমান বলেন, এরকম কোন অভিযোগ পাইনি। মৌখিকভাবেও তারা আমাকে জানায়নি। জানালে ব্যবস্থা নিতে পারতাম।

এ সম্পর্কিত আরও খবর