কুবিতে ফুটবলের ফাইনাল শেষে প্রক্টর-খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি

, ক্যাম্পাস

কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা | 2023-10-03 12:47:16

রেফারির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তঃ বিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচ শেষে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই সময় শিক্ষার্থী ও উপস্থিত প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যে পরিস্থিতি বাগবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়।

সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচে ২-০ গোলে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে হারার পর ম্যাচ রেফারির দিকে তেড়ে যায়। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডি তাদের বাধা দিতে এগিয়ে আসে এবং তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে সরাতে থাকে।

তবে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবি তারা রেফারির সঙ্গে ‘সেল্ফি’ তুলে স্লেজিং করার উদ্দেশ্যে রেফারির দিকে একযোগে যাচ্ছিল। অন্যদিকে প্রক্টরিয়াল বডি তাদের বাধা দিতে এগিয়ে আসলে কিছুক্ষণের জন্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইন বিভাগের ফুটবল দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ সাকিব হাসান বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। রেফারির আচরণ অন্যরকম মনে হয়েছে এবং দর্শকদের চোখেও এটি লেগেছে। এজন্য সবার মন খারাপ ছিল। এর মধ্যে হঠাৎ করে কথা কাটাকাটির মধ্যে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত স্যার এসে হয়তো থামানোর চেষ্টা করেছেন। তবে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কেমন যেনো বিষয়টি উলটপালট হয়ে গেছে।

প্রক্টরদের কেউ শিক্ষার্থীদের মারধর করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রক্টর স্যার ঘটনাটি সমাধানের জন্য চেষ্টা করছিলেন। যেন ঝামেলা না লাগে। প্রক্টর স্যার শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দিয়েছে এমন ঘটনা দেখিনি। বরং তিনি চেষ্টা করেছেন থামানোর জন্য।

এ ব্যাপারে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আজকে যে অনভিপ্রেত ঘটনার উদ্ভূত হয়েছে তা নিয়ে ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে যেন সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে আমরা কোনো ভেদাভেদ চাই না। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখে প্রশাসন যেভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার সেভাবেই নিচ্ছে। প্রক্টর স্যার ছাত্রদের ওপর হাত তুলেছেন তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি। প্রক্টর স্যার ছাত্রদের মারধর করেছেন এখনো কেউ আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। যারা এসব ছড়াচ্ছেন তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রক্টরিয়াল বডি তাদের দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট সচেষ্ট ছিল।

এ ব্যাপারে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত বলেন, ‘প্রক্টরিয়াল টিমের দায়িত্ব পালন করতে মাঠে গিয়েছিলাম। আইন বিভাগ হেরে যাওয়ার পর তারা উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যায়। আমরা যারা প্রক্টরিয়াল টিমের দায়িত্বে ছিলাম তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। এরমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আমি দুইবার পড়ে গিয়েছি। কেউ হয়তো ধাক্কা দিয়েছিল আমাকে। সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের যা করার প্রয়োজন ছিল আমরা তাই করেছি।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলে কাজ করেছেন। এখানে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর