খেলাধুলায় অনুপযোগী জবির খেলার মাঠ, ইট সুরকির স্তূপ

বিবিধ, ক্যাম্পাস

জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪ | 2023-08-29 05:35:06

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ধুপখোলায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠ বর্তমানে অনেকটাই খেলাধুলার অনুপযোগী। পুরো মাঠের বিভিন্ন যায়গায় ইট, সুরকি আর কংক্রিটের স্তূপ। আর এ কংক্রিটের উপর খেলতে গিয়ে আহত হয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ খেলার মাঠ নিয়ে কথা বললে নতুন ক্যাম্পাসে সব হবে বলে সান্ত্বনা দেয় কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ধুপখোলায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠে ইট সুরকি আর বালির কারণে সেখানে খেলার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করছে শিক্ষার্থীরা। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরদারির অভাবে বেদখল হয়ে পড়ছে মাঠের বিভিন্ন অংশ। এদিকে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা কম থাকায় সারা বছরই বহিরাগতদের দখলে থাকে মাঠটি। আন্তঃবিভাগ টুর্নামেন্টের জন্য মাঠটি বছরে একবার ব্যবহারের সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। অন্য সময়ে স্থানীয়দের দখলে থাকে এটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দুরে অবস্থিত ধুপখোলা খেলার মাঠ। উত্তর ও দক্ষিণ পাশে গ্যালারির মতো করে তৈরি হয়েছে এক তলা মার্কেট। যেটি দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মার্কেট হিসেবে পরিচিত। আশেপাশে নির্মাণাধীন বিভিন্ন ভবনের নির্মাণ সামগ্রী ও আবর্জনা ফেলা হয় এ মাঠে।

যার ফলে ঐতিহ্যবাহী এ মাঠে পড়ে থাকে ইট, পাথরসহ নানান রকমের ময়লা আবর্জনা। শিক্ষার্থীরা খেলতে নেমে হাত-পা কেটে আহত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও এখানে খেলাধুলা করে স্থানীয় শিশু-কিশোররা।

মাঠের বেহাল দশার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা হয় ক্যাম্পাসের ভেতরে বিজ্ঞান ভবনের সামনে পাকা মাঠে। অথবা কলা ভবনের সামনের জায়গায়। মাঠের বেহাল দশার কারণে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য অনেক সময় জবি শিক্ষার্থীরা পার্শ্ববর্তী ঈস্ট বেঙ্গল খেলার মাঠ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের মাঠ ব্যবহার করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে বিভিন্ন স্থানে প্র্যাকটিস করে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংকটের অন্ত নেই । প্রশাসন আন্তরিক হলে এ সব সঙ্কটের অনেকগুলোরই সমাধান সম্ভব। কিন্তু এ বিষয়ে তেমন কোনও উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে শিক্ষার্থীদের নানা চাহিদা দাবি আকারেই থেকে যাচ্ছে। যা আজীবন চলবে বলে মনে করেন পুরান ঢাকার প্রাচীন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আলী নূর বলেন, ‘মাঠটি আসলে খেলার উপযুক্ত নয়। সেখানে সংস্কারের কাজ করা হবে। সমস্যার সমাধানে কমিটি কাজ করছে।’

শরীরচর্চা শিক্ষাকেন্দ্রের সহকারী পরিচালক গৌতম কুমার দাস বলেন, ‘উপযুক্ত মাঠের অভাবে শিক্ষার্থীরা খেলার ব্যাপারে আগ্রহ হারাচ্ছে। তাদের একসঙ্গে খেলার ব্যবস্থা থাকলে বিভাগীয় শিক্ষকদের জন্যও সুবিধা।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর