আজ ১০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) দেশজুড়ে ৭ টি প্রধান কেন্দ্রে এবং ৩ টি উপকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা। নতুন অন্তর্ভুক্ত হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত সকল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে প্রধান কেন্দ্র। উপকেন্দ্র তিনটির মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইডেন মহিলা কলেজ।
ইতোমধ্যেই আসন বিন্যাস প্রকাশ করেছে কৃষিগুচ্ছের দায়িত্বে থাকা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটি যেখানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) সাত হাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২৬ হাজার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ১২ হাজার ২৫ জন ও ইডেন মহিলা কলেজে ৩ হাজার ৫৮১ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে।
ঢাকার বাইরের কেন্দ্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ১২ হাজার ৫০০ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) সাত হাজার জন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) চার হাজার জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এবং পশু বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হাজার জন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) তিন হাজার ১৫৩ জন এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুকৃবি) এক হাজার ৯০০ জন।
বিগত বছরগুলোতে আবেদনের প্রেক্ষিতে আসন সংখ্যার ১০ গুণ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেলেও এই বছর সিলেকশন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবছর আবেদনের যোগ্যতা বিবেচনায় সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫ ধারীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
এক্ষেত্রে মোট আসন সংখ্যা ৩৫৩৯ টির বিপরীতে মোট আবেদন করেছে ৭৯ হাজার একশত ৪৭ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে কৃষি গুচ্ছের ১টি আসনের জন্যে লড়বেন প্রায় ২৩ জন পরিক্ষার্থী।
ভর্তি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিশ্ববদ্যালয়ের প্রোক্টর ড. মোহাম্মদ হারুন উর রশিদ বলেন,‘প্রতিবছরের ন্যায় এবছর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত চলে আসবে সেটাই আমি তাদের বলতে চাই। সবার কথা বিবেচনা করে ১১.৩০ পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে একটা বিষয় অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে তা হচ্ছে নিরাপত্তা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে।কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটার বা ঘটানোর সুযোগ থাকবে না।’
এবছর ভর্তি পরীক্ষায় আসন সংখ্যা আগের মতোই রয়েছে। তবে এ গুচ্ছের সঙ্গে নতুন যুক্ত হওয়া হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০টি আসন যোগ হয়েছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩০টি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৪টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি আসন রয়েছে।