'সুবর্ণ স্মৃতির মধুর আনন্দে, এসো মিলি মোরা সৃজনী ছন্দে' স্লোগান নিয়ে হাসি-গানের কোলাহল আর আনন্দ-বেদনার স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পঞ্চম পুনর্মিলনী।
শুক্রবার (২ নভেম্বর) সকালে ঢাবি’র টিএসসি মিলনায়তনে এ পুনর্মিলনী শুরু হয়। শুরুতে এসোসিয়েশনের প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ। পরে এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানমকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, ' মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়নে অনন্য অবদান রাখে এই রোকেয়া হল। নেপোলিয়ন বলেছিলেন, আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।’
'বাংলাদেশের প্রথম যে মহিলা হলটি পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যাত্রা করে, সেটি এই রোকেয়া হল।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক হামিদা আক্তার বেগম বলেন, 'রোকেয়া হলকে যদি 'রত্নগর্ভা' বলি তাহলে অত্যুক্তি হবে না। এই হল থেকে কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদসহ অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্ব বেরিয়েছেন।’
রোকেয়া হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সদস্য অধ্যাপক রওশন আরা ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম বেগম এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদা।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মুহাম্মদ কাউছার, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, রোকেয়া হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সেলিনা বেগম, অধ্যাপক সালমা আক্তার প্রমুখ।