কুড়িগ্রামে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবীরা

কুড়িগ্রাম, দেশের খবর

জুয়েল রানা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম | 2023-09-01 00:45:00

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকারি নির্দেশনায় তৃতীয় দিনের মতো কুড়িগ্রামে শহর ও গ্রামাঞ্চলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

শুধু কাঁচাবাজার, ফার্মেসি ও নিত্যপণ্যের মুদি দোকান সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ফলে সন্ধ্যার পরপরই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে হাটবাজার।

কাঁচাবাজারগুলোতে আসা পণ্যবাহী গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহনে জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা।

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ফাঁকা হয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। শহর ও গ্রামের রাস্তায় দুই-একটি রিকশা, অটোরিকশা দেখা গেলেও যাত্রী পাচ্ছেন না চালকরা। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন সব ধরনের শ্রমজীবী মানুষ।

জেলা ও উপজেলায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও মাইকিং করে দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ রাখাসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। আর এ নির্দেশনা কার্যকর করতে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছেন সেনা সদস্যরা।

কুড়িগ্রাম শহরের রিকশাচালক আলম মিয়া জানান, একদিন রিকশা নিয়ে বের না হলে খাবার জোটে না। তাই রিকশা নিয়ে সকাল থেকে শহরে ঘুরছি। রাস্তায় লোকজন নাই তাই ভাড়াও নাই। আয়-রোজগার করতে না পারলে খাবার জুটবে না।

শহরের আরেক অটোরিকশা চালক শফিকুল বলেন, আমরা গরিব মানুষ, প্রতিদিন অটো চালিয়ে চাল-ডাল কিনে খাই। গাড়ি চালানো নিষেধ থাকলেও উপায় নাই। অটো নিয়ে এসেছি কিন্তু কোন প্যাসেঞ্জার নাই। সব ফাঁকা। এমন চলতে থাকলে বউ-বাচ্চা নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে।

করোনা সতর্কতায় যানবাহনসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জেলায় কর্মহীন হয়ে পড়া রিকশাচালক, ভ্যানচালকসহ বিপুলসংখ্যক শ্রমজীবী মানুষের সহায়তার জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এই টাকা দিয়ে প্রতি উপজেলায় দুই শতাধিক কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবী মানুষের তালিকা করে প্রতি জনকে ১০ কেজি করে চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল ছাড়াও লবণ ও সাবান কিনে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে বরাদ্দের টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক। শনিবারের মধ্যে তা বিতরণ করা হবে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বরাদ্দের টাকা জেলার ৯ উপজেলায় নির্দেশনা দিয়ে পাঠানো হয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবী মানুষের তালিকা করে বিতরণ করতে বলা হয়েছে। আমাদের কাছে ত্রাণের যে চাল মজুদ আছে সেখান থেকে ১০ কেজি করে চাল এবং বরাদ্দ পাওয়া টাকায় আলু, ডাল, লবণ ও সাবান কিনতে বলা হয়েছে। শনিবারের মধ্যে তালিকা করে এসব পণ্য প্যাকেট করে বিতরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর