শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সর্বত্র নারীর শুধু অংশগ্রহণ বাড়ালে চলবে না, তার গুণগত উন্নয়ন জরুরি। আর এ বিষয়টি মাথায় রেখে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অসমতা ও বৈষম্য দূর করে নারীদেরকে উন্নয়নের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করতে হবে। কারণ দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীদের হাতকে কাজের হাতে পরিণত করতে না পারলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নতি কখনও সম্ভব নয়।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৮ দিনব্যাপী ‘উদ্যমী নারী এসএমই মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের উন্নয়নে কাজ করছে বলেই নারীরা এখন স্বাধীনভাবে সব পেশায় কাজ করতে পারছে। নারীর এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে। সেজন্য যে বাধাগুলো রয়েছে সেগুলো দূর করতে হবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার ব্যাংকগুলোর কাছে সুনির্দিষ্ট করে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য টাকা দিয়েছে। এই টাকা নেবার সুযোগ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অনেক নারী উদ্যোক্তা পান না। এটা ঠিক নয়। নারীদের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।
চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জাহাঙ্গীর আখন সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ও দেশের খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ, পরিকল্পনা বিভাগ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল আমিন, চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকআব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি এবং অপ্সরা ইন্টারন্যাশনালের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলা চলবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলায় ২৫টি স্টল স্থান পেয়েছে।
মেলায় চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি জামদানি শাড়ি, নকশী কাঁথা, হস্তশিল্প সামগ্রী, মৎস্য ও কৃষি শিল্পসহ বিভিন্ন প্রকার পণ্য সামগ্রীর বিপুল সহামার থাকবে। উদ্যমী নারীগণ এসব পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয় করবেন।
৮ দিনব্যাপী মেলায় একদিন থাকবে সেমিনার। এতে দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। প্রতিদিনই থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।