বেড়েছে খেজুরের গুড়ের চাহিদা

রাজবাড়ী, দেশের খবর

সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী | 2023-09-01 23:21:16

শীতের তীব্রতা যত প্রকট হচ্ছে রাজবাড়ীতে ততই বাড়ছে খেজুরের গুড়ের  চাহিদা। শীত মৌসুমে নানা ধরনের পিঠা তৈরির জন্য খেজুরের গুড়ের কোনও বিকল্প নেই। তাই পিঠাপ্রেমী মানুষ খেজুরের গুড় কিনতে ভিড় করছেন দোকানগুলোতে।

এ সুযোগে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী খেজুরের রসের সাথে চিনি মিশিয়ে অতিরিক্ত দাম নিয়ে প্রতারণা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ক্রেতা।

সরজমিন কালুখালী বাজারের গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি খেজুরের গুড়ের দোকানেই ক্রেতাদের আনাগোনা রয়েছে। কম-বেশি সবাই সাধ্যমত খেজুরের গুড় কিনছেন। কোনও কোনও ক্রেতা আবার খেজুরের রসের সাথে চিনি মেশানো নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন।

ব্যবসায়ীদের কাজ থেকে গুড় কিনছেন এক ক্রেতা

অন্যদিকে বালিয়াকান্দির পাইককান্দি গ্রামে খেজুরের গুড় তৈরির কারখানায় গিয়ে দেখা হলো প্রায় ৭-৮ জন গাছির সঙ্গে। ভোর বেলায় গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন। গুড় তৈরির পর সেখান থেকেই ব্যবসায়ীরা দুপুরের পর গুড় কিনে নিয়ে যান।

গাছি আমজাদ, খলিল ও হাসানুর বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা প্রতিদিন ২০০-৩০০ খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করি। কয়েকদিন আগেও খেজুরের গুড়ের চাহিদা কম ছিল। কিন্তু শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে বেশ কয়েকদিন থেকেই খেজুরের গুড়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। গুড় ব্যবসায়ীরা আমাদেরকে বেশি করে গুড় তৈরির জন্য চাপ দিচ্ছেন।

খেজুর গাছ

খেজুরের গুড় ক্রেতা হাসান আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতি বছরই শীত এলে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি খেয়ে থাকি। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এখন একটু শীত বেশি পড়ায় সবাই গুড় কিনতে ব্যস্ত হয়েছেন। যার কারণে ব্যবসায়ীরাও এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। সেই সাখে খেজুরের রসের সাথে চিনি মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

গুড় ব্যবসায়ী সালাম মন্ডল ও আকরাম হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখন খেজুরের গুড়ের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। ১০-১৫ দিন আগে যেখানে আমরা প্রতিদিন চল্লিশ কেজির মতো করে খেজুরের নরম গুড় ও পাটালি বিক্রি করতাম সেখানে  এখন প্রায় ৭০-৮০ কেজি করে বিক্রি করছি। বর্তমান খেজুরের গুড় বেচাকেনার ধুম পড়েছে।

চিনি মেশানোর বিষয়টি স্বীকার করে এই ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা চিনি মেশাই ঠিক আছে। তবে দামও কিন্তু অনেক কম নিচ্ছি। চিনি মেশানো এক কেজি পাটালির দাম নিচ্ছি ১০০-১২০ টাকা। আর চিনিমুক্ত এক কেজি খেজুরের গুড়ের দাম নিচ্ছি ২০০-২৫০ টাকা পর্যন্ত।

এ সম্পর্কিত আরও খবর