খুনের প্রতিশোধ নিতেই আনসার সদস্যকে হত্যা

যশোর, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া | 2023-08-29 13:31:29

যশোরের হাসিমপুর বাজারে আনসার সদস্য হোসেন আলী হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭ আসামিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পারিবারিক কলহ, আধিপত্য বিস্তার এবং খুনের প্রতিশোধ নিতেই এ হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, গত ৩০ নভেম্বর সকালে যশোরের হাশিমপুর বাজারে একটি চায়ের দোকানের সামনে ৯ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী হোসেন আলীকে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। ঘটনার ওই দিনই নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১২ ডিসেম্বর পুলিশ আমিনুর রহমান মিঠু নামে একজনকে গ্রেফতার করে ও রিমান্ডে নেয়। মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় এটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মিঠুর দেয়া তথ্য অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর রাতে পুলিশের একাধিক টিম ঢাকার কাফরুল ও ভাসানটেক এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত রাসেল, আনোয়ার, হাবিল ওরফে বার্মিজ, বিজয় বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী একইরাতে যশোরের হাশিমপুর বাজার থেকে সুজন ও সজল এবং মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া থেকে আলী রাজ বাবু ওরফে ছোটবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি জুয়েল ও মুন্নাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও জানান, অভিযানকালে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল, একটি চাকু, ১০টি মোবাইলফোন ও একাধিক সিম উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে জুয়েলের সঙ্গে হোসেন আলীর স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কলহ ছিল। কিন্তু এক সময়ের চরমপন্থী সংগঠনের সদস্য হোসেন আলীকে সাধারণ ক্ষমা করে সরকার। পরে তার আনসার বাহিনীতে চাকরি হয়। কিন্তু চাকরিতে থাকা অবস্থায়ও ওই বাহিনীর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ছিল। জুয়েলের ভাই বাবলা ও মুন্নার বাবা বুলি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হওয়ার ঘটনায় হোসেন আলীর হাত ছিল বলে তাদের (জুয়েল ও মুন্না) সন্দেহ ছিল। এসব কারণে হোসেন আলী খুন হয়েছেন বলে পুলিশের দাবি।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম জানান, মামলা তদন্ত করে তারা জানতে পারেন, জুয়েল ও মুন্নার নেতৃত্বে ওই এলাকায় একটি সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ১৫ থেকে ২০ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে তারা এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদকদ্রব্য বিক্রি, ভাড়াটে খুনি হিসেবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

এ সম্পর্কিত আরও খবর