মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসলেও দাম কমেনি বাজারে

কক্সবাজার, দেশের খবর

উপজেলা করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, টেকনাফ | 2023-08-26 01:33:40

মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে শত শত টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও, বাজারে এর কোন প্রভাব পড়েনি।

এই বন্দর দিয়ে বুধবার (২৩ অক্টোবর) ৮৭৫ দশমিক ৬২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে (২৩ দিনে) ১৩ হাজার ৭৮৯ দশমিক ৭৬৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়। তবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি থাকায় মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা।

আমদানিকারক যদু চন্দ্র দাশ বলেন, বাজার স্বাভাবিক রাখতে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। তবে মিয়ানমারে পেঁয়াজের দাম বাড়লে আমদানি কমে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসন যদি বন্দরের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে ব্যবসায়ীরা লোকসান থেকে রক্ষা পেতো।

টেকনাফ শুল্ক ষ্টেশন সূত্রে জানা যায়, বুধবার মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসা ৮৭৫ দশমিক ৬২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। খালাসকৃত পেঁয়াজ সমূহ ট্রাক ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে। তবে বন্দরে পর্যাপ্ত শ্রমিক ও অবকাঠামোর অভাব না থাকলে আরও বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হত বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তবে চলতি মাসে সব মিলিয়ে ১৩ হাজার ৭৮৯ দশমিক ৭৬৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। এছাড়া গত সেপ্টেম্বর মাসে খালাস হয়েছে ৩ হাজার ৫৭৩ দশমিক ১৪১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। এত বিপুল পরিমাণ পেয়াঁজ আমদানি হলেও স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, টেকনাফ পৌরসভায় বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বড় সাইজের ৯৫ থেকে ১০০ টাকা আর ছোটটা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ সব পেঁয়াজ আড়তদারের কাছ থেকে ৯০ থেকে ৬০ টাকায় কিনে আনেন খুচরা বিক্রেতারা। সরকার সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নিলেও তা কোন কাজে আসছে না। বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনশীল রাখতে অভিযান পরিচালনা এবং ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে বাজার মনিটরিং না করলে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভবনা নেই বলে জানায় স্থানীয়রা।

টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন বলেন, বুধবার ৮৭৫ দশমিক ৬২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। এ সব পেঁয়াজের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। গত সেপ্টেম্বরে রাজস্ব আদায়ে মাসিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে চলতি মাসেও রাজস্ব আদায় নিয়ে আশঙ্কা করছেন তিনি।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর