কক্সবাজারের ডিসিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ঘুষ মামলা

কক্সবাজার, দেশের খবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কক্সবাজার | 2023-08-31 06:56:52

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে ঘুষ আদায় ও ঘুষ নিয়ে একজনের জমির ক্ষতিপূরণের টাকা অন্যজনকে দেয়ার অভিযোগে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামাল হোসেনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার মৃত ডা. আমান উল্লাহর ছেলে কেফায়েতুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন বলে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাকারিয়া।

মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আফসার, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমদ, অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মোমিনুল হক ও দেবতোষ চক্রবর্তী, ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কানুনগো মিলন কান্তি চাকমা, সার্ভেয়ার কেশব লাল দাস, ইব্রাহিম, সিরাজুল হায়দার ও আবুল খায়ের, মাতারবাড়ীর লাইল্যা ঘোনা এলাকার মো. সেলিম ওরফে সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, ইসলাম মিয়ার ৩ ছেলে-মেয়ে অলি আহমদ, জামাল উদ্দিন ও তাহেরা বেগম, আলী আসকরের ছেলে রোমেনা আফরোজ এবং মাতারবাড়ির মগডেইল এলাকার আবু ছালেক।

মামলার এজাহারে উল্লেখ্য যে, চলতি ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে বাদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের জন্য গেলে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমদের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আফসার ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা অন্য আসামিদের যোগসাজশে ক্ষতিপূরণের চেক দেয়ার জন্য ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। বাদীকে অফিসে বসিয়ে রেখে বাধ্য করে তাৎক্ষনিক ৫০ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করেন এবং ঘুষের অবশিষ্ট টাকা ৭ দিনের মধ্যে দিলে ক্ষতিপূরণের চেক দেয়ার আশ্বাস দেন বলেও উল্লেখ্য করা হয়।

আরও উল্লেখ্য করা হয়, ঘুষ নেয়ার পর বাদীর অধিগ্রহণ হওয়া ৯৪, ৫০৭৯, ৫০৮২ ও ৫০৮৬ দাগের ক্ষতিপূরণের চেকে মনোয়ারা বেগমসহ অন্য ৬ জনের ‘কেনা সম্পত্তি’ দেখিয়ে প্রাপ্য ১৮ লাখ ৩ হাজার ৩১৯ টাকাকে কর্তন করে বাদীকে ৮ লাখ ৭২ হাজার ২৬৯ টাকার চেক প্রদান করা হয়। অবশিষ্ট টাকা মনোয়ারা বেগমসহ অন্য আসামিদের দেয়া হয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাকারিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক খন্দকার হাসান মো. ফিরোজ মামলাটি আমলে নিয়েছেন। একই সাথে তিনি মামলার বাদী কেফায়েতুল ইসলামের ২০০ ধারায় জবানবন্দিও নিয়েছেন। তবে, তিনি অন্যকোন ধরণের আদেশ দেননি।

তবে, জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামাল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, মামলার বিষয়টি জেনেছি। খতিয়ে দেখার জন্য মামলার কপি আনতে বলেছি।

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, তাই আমার অফিসের কোন কর্মকর্তা জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখবো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর