প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা

বরগুনা, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম,বরগুনা | 2023-08-21 21:44:04

বরগুনার তালতলী উপজেলার তাঁতি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিকির অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা কারণে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক স্কুলে না গিয়ে ব্যক্তিগত কাজে প্রায়ই তালতলীতে থাকেন। আবার স্কুলে গেলেও ক্লাস না নিয়ে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ান। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো চালান বিদ্যালয়।

এদিকে বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র তিনজন শিক্ষক। আবার বিদ্যালয়ে সরকারি অনুদান আসলেও তার পকেট ভারি করে তা দিয়ে কাজ না করে আজ কাল করে ঘুরাতে থাকেন প্রধান শিক্ষক।

বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নেই স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট। বেঞ্চের অবস্থা খুবই করুণ। বিদ্যালয় নেই জাতীয় পতাকা। এ সব অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ইতিপূর্বে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাকে তিনবার শোকজ করেছেন। মৌখিকভাবে সতর্ক করেছেন বহুবার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্কুলে নেই। টাঙানো হয়নি জাতীয় পতাকা। একটি ছেড়া পতাকা দেখা গেছে বিদ্যালয় ভবনের দরজার কপাটের সঙ্গে ঝুলানো।

বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মোবাইলে জানানো হলে সে বিদ্যালয়টিতে তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে এসে ঘটনার সত্যতা পান।

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না আবার আসিলেও ক্লাস নেন না। এভাবে চলতে থাকলে প্রাথমিক পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়বে। আমরা বাচ্চাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত। প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ঠিক করে নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার দাবি জানান।

প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আমি স্কুলে আসি বা না আসি তাতে আপনাদের কি। আপনারা পারলে আমার যা পারেন করেন। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব দেব।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিকুল আলম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর