শীতকালীন সবজি চাষে ঝুঁকেছেন গাইবান্ধার কৃষকরা

গাইবান্ধা, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গাইবান্ধা | 2023-08-27 04:48:04

কৃষিভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত গাইবান্ধা জেলা। ধান-ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি নানা ধরনের সবজির চাষ করেন এ জেলার কৃষকরা। শীতকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই জেলার উঁচু জমিগুলোতে শুরু হয়েছে শীতকালীন সবজির চাষাবাদ।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শীত মৌসুমে গাইবান্ধা জেলায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি উৎপাদন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লাউ, শিম, মুলা, বেগুন, লালশাক, পালংশাক, ধনেপাতা প্রভৃতি। উৎপাদিত সবজি নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাত করে বাড়তি আয় করছেন চাষিরা।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. এস এম ফেরদৌস বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, এ এলাকার কৃষকরা শাকসবজি চাষাবাদে বেশ আগ্রহী। আমরাও মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের নানান ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।

চাষিরা জানান, আবহাওয়ার অনুকূল থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হবে। বাজারেও ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তারা।


পলাশবাড়ী এলাকার কৃষক নাজির উদ্দিন বলেন, ধান আবাদের চেয়ে সবজি ফসলই বেশি লাভজনক। এবার আড়াই বিঘা জমিতে বাঁধাকপিসহ নানান শাকসবজি আবাদ করা হয়েছে। শীতের মৌসুমে বাজারে বিক্রি এসব সবজি বিক্রি করা যাবে।

প্রতি শীতে এ জেলায় প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজির উৎপাদন হয়। পচনশীল হওয়ায় অনেক সময় ক্রেতার অভাবে বাজারেই শাকসবজি নষ্ট হয়ে যায়। সবজি সংরক্ষণের সরকারি তেমন কোন ব্যবস্থাও নেই।

কৃষকরা জানান, শীতকালে এলাকায় প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি উৎপাদিত হয়। অনেক সময় বাজারে চাহিদার চেয়ে আমদানি বেড়ে গেলে কমে যায় সবজির দাম। বেশি সময় ধরে ক্ষেতের ফসল তোলা বন্ধ করা হলে তা জমিতেই নষ্ট হয়ে যায়। এতে আর্থিককভাবে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তাই সবজি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে ব্যবস্থা করা হলে এই অপচয় অনেকটা কমে যাবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর