গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বুজরুক ও পশ্চিম ফুলবাড়ি গ্রামের গা ঘেঁষে বয়ে গেছে পাকুরিয়া বিল। জলাশয় ভরা এ বিলটির মাঝে পানিতে ভেসে রয়েছে সাদা পদ্ম ফুল।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নজর কাড়ছে সবুজ পাতাসহ সাদা রঙের পদ্ম ফুল। শরতের নীল আকাশের নিচে ঝিরঝির দখিনা বাতাসের সঙ্গে দোল খায় একেকটা পদ্ম।
পাকুরিয়া বিলে প্রতিদিনই এই পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন ভ্রমণপিপাসুরা।
জানা গেছে, পাকুরিয়া বিলে সারা বছর পানি জমে থাকে। ফলে এ জায়গায় সাদা পদ্ম ভালো জন্মে। পাতা বড় এবং সবুজ গোলাকৃতির। প্রতি বছর বর্ষার পানিতে পদ্ম গাছ জন্মে। শরতে ফুল ফোটে। ফুল বৃহৎ এবং বহু পাপড়িযুক্ত। ফুলের রঙ সাদা ও সুগন্ধিযুক্ত। পদ্মের মূল, কাণ্ড, ফুলের বৃন্ত ও বীজ খাওয়া যায়। পুরাতন গাছের কন্দ এবং বীজের সাহায্যে এ গাছের বংশবিস্তার হয়। খাল-বিল, হাওরে নানা রঙের পদ্ম জন্মে। তবে পাকুরিয়া বিলে দীর্ঘদিন ধরে সাদা পদ্ম রয়েছে।
পদ্মফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা শিমুলী আকতার লিজা ও মেহেদী হাসান জানান, এর আগে বিলে এসে কখনো পদ্মফুল দেখা হয়নি। তাই বিলে ঘুরতে এসেছেন। সাদা পদ্ম দেখে তাদের চোখ জুড়িয়ে গেছে।
স্থানীয় শ্রী কার্তিক চন্দ্র বর্মন জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উত্সব শারদীয় দুর্গাপূজা। ওই পূজাতে পদ্মফুলের প্রয়োজন হয়। প্রতি বছর তারা পাকুরিয়া বিল থেকে পদ্মফুল সংগ্রহ করেন।
খালেকুজ্জামান মণ্ডল নামে এক চিকিৎসক (ভেষজ) জানান, পদ্ম জলজ উদ্ভিদ। সাদা পদ্ম ঔষধি গুণ সম্পন্ন ফুল। শ্বেত রোগ ভালো করে। হৃদরোগ ঝুঁকি কমায়।