রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় টেকনাফে তিন পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের প্রস্তুতি

কক্সবাজার, দেশের খবর

উপজেলা করেসপেন্ডেন্ট, বার্তাটোয়ান্টিফোর.কম, টেকনাফ (কক্সবাজার) | 2023-09-01 00:03:36

রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তা জোরদারে কক্সবাজারের টেকনাফে তিনটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম টেকনাফের জাদিমুরা, শালবাগান, নয়াপাড়া, আলীখালী ও লেদা রোহিঙ্গা শিবির একে একে ঘুরে দেখেন।

এতে 'রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের' গুলিতে নিহত যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হত্যাকারীদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন পুলিশ সদস্যরা।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি ও টেকনাফের জাদিমুরা শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ খালেদ হোসেন, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) কক্সবাজার সিনিয়র লিয়াজো অফিসার মোহাম্মদ বায়েজিদ, টেকনাফ মডেল থানা ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহা সহ অন্যান্যরা।

পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, 'রোহিঙ্গাদের জানমালের নিরাপত্তা ও বিভিন্ন অপরাধ দমনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই পাঁচ রোহিঙ্গা শিবিরে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টেকনাফের জাদিমুরা, শালবাগান, নয়াপাড়া, আলীখালী ও লেদা রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে দেখেছেন। এসব শিবিরে তিনটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের জায়গা নির্ধারণ করা হচ্ছে।'

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, 'অতি দ্রুত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হবে। এত অল্প সময়ে বিশ্বের কোনো দেশ এত আশ্রয়হীন মানুষকে আশ্রয় দেয়নি। মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় ও নানা সেবা দিয়েছি। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে রোহিঙ্গা শিবিরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে এবং যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা হবে।'

শরণার্থী ত্রাণ, প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি ও টেকনাফের জাদিমুরা শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ খালেদ হোসেন, 'রোহিঙ্গা শিবিরে নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে, সেজন্য জায়গাও নির্ধারণ করা হচ্ছে।'

গত ২২ আগস্ট রাতে টেকনাফ উপজেলায় 'রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের' গুলিতে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনার পর থেকে কয়েকটি শিবিরে নিরাপত্তা ভয়ে এনজিওদের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তারই সূত্র ধরে অপরাধ দমন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করণে পাঁচ রোহিঙ্গা শিবিরে তিনটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

এদিকে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, পুলিশ ক্যাম্প করার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে দ্রুত তাদের জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে হবে। টেকনাফের জাদিমুরা, শালবাগান, লেদা, নয়াপাড়া ও আলীখালী রোহিঙ্গা শিবিরগুলো দিন দিন ভয়ানক হয়ে উঠছে। এসব শিবিরের আশপাশের স্থানীয় লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর