সাদুল্লাপুরে আমন ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

গাইবান্ধা, দেশের খবর

তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গাইবান্ধা | 2023-08-24 13:02:32

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় কৃষকদের রোপণ করা আমনের চারাগুলো কাঁচা সবুজ রং ধারণ করেছে। দিগন্তজুড়ে নজর কাড়ছে আমন ধানের ক্ষেত। ক্ষেতে সার-কীটনাশক প্রয়োগসহ ধানের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

চলতি বছর বন্যায় গাইবান্ধা জেলার সবকটি উপজেলা প্লাবিত হয়। তবে উপজেলাগুলোর মধ্যে সাদুল্লাপুর তুলনামূলকভাবে উঁচু এলাকা হওয়ায় বন্যার প্রভাব খুব বেশি পড়েনি। বর্ষাকালের মাঝামাঝি সময়ে আমন চারা রোপণ করেছেন এখানকার কৃষকরা।

এবারে আমন চারা রোপণের পরপরই প্রচণ্ড খরায় পুড়ছিল আমনের ক্ষেত। বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে আমন ধান চাষাবাদ করতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে।


কৃষক আজাহার আলী বলেন, এমনিতে ধান উৎপাদন করে ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায় না। এবার অনাবৃষ্টির কারণে শ্যালো মেশিনের সেচে জমির পরিচর্যা করতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে।

আরেক কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, এর আগের বৃষ্টিতে ধানের চারা রোপণ করেছিলাম। এরপর টানা খরায় জমির পানি শুকিয়ে গেছে। ফলে পানির অভাবে জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় জমি পরিচর্যা ও সার-কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারছি না। ধান চাষ করে চরম বিপদে পড়েছি।

কৃষক জামাত আলী প্রধান অভিযোগ করে বলেন, এবারে আমন ক্ষেতে কিছু রোগ-বালাই দেখা গেছে। পরামর্শ দিতে কৃষি বিভাগের কোনো কর্মকর্তা মাঠে আসেন না। তারা সঠিক পরামর্শ দিলে অধিক ফসল উৎপাদন করা সম্ভব।


উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, কৃষকদের কাঙ্ক্ষিত ফসল অর্জনে প্রতিটি ব্লক পর্যায়ে গিয়ে আলোকফাঁদ ক্যাম্পেইনসহ নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার খাজানুর রহমান জানান, চলতি আমন মৌসুমে ১৪ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভালো ফলন পেতে কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর