গাংনীতে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে, পরিস্থিতি ভয়াবহ!

মেহেরপুর, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মেহেরপুর | 2023-08-19 11:56:20

প্রতিকার ও প্রতিরোধ ব্যবস্থার মধ্যেও মেহেরপুর জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। বিশেষ করে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থার দিকেই বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

গত ৩০ জুলাই গাংনীতে উম্বিয়া খাতুন নামে এক গৃহবধূর প্রথম ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরে কয়েকজন এসিড মশা ধরে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন গাংনীতেই রয়েছে এডিস মশার অস্তিত্ব। এরপর থেকেই প্রতিদিনই শনাক্ত হচ্ছে ডেঙ্গু রোগী। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭১ জন, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ৪৮ জন ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন শনাক্ত হয়েছে।

এদের মধ্যে আজ সকাল পর্যন্ত (২১ আগস্ট) জেলার দুই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১১ জন। শনাক্ত হওয়াদের বেশিরভাগ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে বিভিন্ন গ্রামে এডিশ মশা ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিকারের কার্যকরী ব্যবস্থা না থাকায় এর ভয়াবহতাও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গেল সপ্তাহে কড়ুইগাছি গ্রামের যুবক সুমন হোসেনকে এডিশ মশা কামড় দেয়। স্থানীয় একটি দোকানে বসেছিলেন তিনি। মশাটি মেরে মোবাইলে ছবি ধারণ করেন। পরে হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন তার ডেঙ্গু হয়েছে। সুমন চিকিৎসায় সুস্থ্ হয়ে বাড়ি ফিরলেও তার গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা সেখানে কতটুকু কার্যকরী হচ্ছে তা ভাবাচ্ছে বলে মন্তব্য সচেতন মহলের।

ওই গ্রামের বাসিন্দা রাইপুর ইউপি সদস্য বকুল আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা মসজিদে মাইকিং করে সচেতন করছি। বিষ ছিটানো হচ্ছে।’

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. বিডি দাস জানান, গাংনী হাসপাতালে যে রোগীগুলো শনাক্ত হয়েছে তার বেশিরভাগই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত। প্রতিদিনই এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা ভয়াবহ অবস্থার দিকেই যাচ্ছে। প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকরী করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান, কাজ যে একেবারেই হচ্ছে না তা নয়। তবে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর