প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে রোহিঙ্গাদের মতামত নেয়া হচ্ছে

কক্সবাজার, দেশের খবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কক্সবাজার | 2023-09-01 21:54:26

মিয়ানমারের দেয়া প্রত্যাবাসনের তালিকায় যে সব রোহিঙ্গার নাম রয়েছে তাদের মতামত নেয়া হচ্ছে। তাদের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই শুরু হবে প্রথমবারের মতো মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে কক্সবাজার টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরে এ মতামত নেয়া শুরু হয়েছে।

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন বলছে, মূলত মিয়ানমার যাদের নাম দিয়েছে তাদের মতামত নেয়া হচ্ছে। তাদের মতামতের ওপর নির্ভর করছে আগামী ২২ আগস্ট প্রত্যাবাসনের সূচনা হবে কী হবে না। মতামত নেয়ার কাজ করছে ইউএনএইচসিআর ও আরআরআরসি’র প্রতিনিধিরা। রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের পৃথকভাবে মতামত নেয়া হচ্ছে।

টেকনাফের জাদিমোরা শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিআইসি) মোহাম্মদ খালেদ হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘প্রত্যাবাসনের তালিকায় নাম থাকা রোহিঙ্গাদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। এজন্য ক্যাম্প ইনচার্জ অফিসের পাশে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের ঘর তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ৩ হাজার ৩১০ জনের পর্যায়ক্রমে মতামত নেওয়া হবে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যদি স্ব-ইচ্ছে যেতে রাজি হয় তাহলে আমরা চূড়ান্ত প্রত্যাবাস প্রক্রিয়া শুরু করব। তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছুই করব না আমরা। তাই তাদের মতামত নেয়া হচ্ছে।’

উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট রাখাইনের ৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে একযোগে হামলার ঘটনা ঘটে। প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে। ফলে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। পুরনোসহ উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি শিবিরে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। তবে জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যা ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৭। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।

জাতিগত নিধন ও গণহত্যার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর