আয়ের কেন্দ্রবিন্দু হবে 'চলনবিল ডিজিটাল সিটি সেন্টার'

নাটোর, দেশের খবর

নাইমুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নাটোর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-28 23:24:46

ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে এবং তরুণদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলেতে নাটোরের সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে 'চলনবিল ডিজিটাল সিটি সেন্টার’। যা ভবিষ্যতে তরুণদের আয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

 

সিংড়ার ফ্রিল্যান্সার অনিক, তমাল ও শুভাশীষ জানান, মৎস্য ও শস্যভাণ্ডার হিসেবে দেশে চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়ার পরিচিতিথাকলেও ডিজিটাল সিটি নির্মাণের পর যোগ হবে আরেকটি পরিচিতি। এখান থেকে সারা দেশের তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ নিয়ে আউটসোর্সিং ভিত্তিক কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারবে।

জানা গেছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নে ১৫ একর জায়গার ওপর ২৫২ কোটি ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রকল্পটি। যার মধ্যে ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি হাইটেক পার্ক ও ১৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ডইনকিবিউশন সেন্টার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সিংড়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার।

 

ইতোমধ্যে হাইটেক পার্ক এবং গণপূর্ত বিভাগের অধীনে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বাকি দুটি প্রকল্পের কাজ এখনও শুরু হয়নি। হাইটেক পার্কটি নির্মাণ করছে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক লিমিটেড এবং টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ করছে নাটোরের বনপাড়ার মীম কন্সট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এখন পর্যন্ত প্রকল্প দুটি পাইলিংসহ ৩০ শতাংশ কাজ শেষ করেছে। কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২০ সালের জুন মাসে।

 

এ বিষয়ে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মশিউর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘জমি নির্বাচন ও কাজ শুরুর অনুমতি পেতে সময় লাগায় প্রকল্পের কাজ দেরিতে শুরু হয়েছে। এছাড়া গত বছরের বন্যায় পাইলিং নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং চলতি বছর বৃষ্টিতে জায়গাটি তলিয়ে আছে। তবে ইতোমধ্যে ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ হবে।’

অন্যদিকে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীম কন্সট্রাকশন মাত্র ১০ শতাংশ কাজ শেষ করেছে। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলেও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘দুটি প্রকল্পের কাজ ৬০-৭০ ভাগ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র ১৫-২০ ভাগ। মূলত নিচু জমি হওয়ায় মালামাল নিতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া বন্যা ও বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তবে আশা করা হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়েই কাজ শেষ হবে।’

 

এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনের সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘সিংড়ার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনও প্রকল্পই ফিরিয়ে দেননি। ডিজিটাল সিটি নির্মাণ হলে চলনবিল হবে একখণ্ড মিনি সিঙ্গাপুর। উত্তরাঞ্চলের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান হওয়ায় উদ্যমী তরুণ-তরুণীরা সহজেই এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে উপার্জন করতে পারবে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর