টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব এলাকায় সুন্দরবন এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার ৮ ঘণ্টা পর ঢাকার সাথে উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকার রেলব্রিজের কাছে লাইনচ্যুত হয় খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস। এতে রেল লাইনের ৫০মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এরপর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেনের বগি উদ্ধারে কাজ শুরুর পর বিকেল সাড়ে ৪টায় সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি সেতু পার হয়। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আবারও বঙ্গবন্ধুপূর্ব স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পরে। পরে তিনঘণ্টা আটকে থাকার পর রাত সাড়ে ৭টার দিকে ট্রেনটি সেতু পার হওয়ার জন্য ছেড়ে যায়।
অন্যদিকে, ঢাকাগামী পরপর সিল্কসিটি ও মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পার হয়। তবে ওই অংশের ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন ও স্লিপার ট্রেন চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুন করে সংস্কার কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। পরে রাত ১০টার দিকে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হলে উত্তরবঙ্গগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ও ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস গন্তব্যের দিকে ছেড়ে যায়।
অপরদিকে, উত্তরবঙ্গগামী একতা এক্সপ্রেস ও পশ্চিমবঙ্গগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে দেবে যাওয়ায় পয়ঃনিষ্কাশন পাইপ রেল লাইনে ঘর্ষণের সৃষ্টি হলে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এরপর টয়লেটের পাইপগুলো কেটে ফেলার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে একতা এক্সপ্রেস বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব স্টেশন ত্যাগ করে। পরে রাত ১২টার দিকে রাজশাহীর উদ্দেশে বনলতা এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়।
এদিকে, রেললাইনের দুর্ঘটনার কারণে চরম ভোগান্তি পড়তে হয় যাত্রীদের। প্রায় প্রতিটি ট্রেনকে প্রায় ৮ ঘণ্টা করে টাঙ্গাইলে বিভিন্ন অংশে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন ঈদে ঘরে ফেরা মানুষরা।
ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াতকারী যাত্রীদের অভিযোগ, অতীতের সকল ভোগান্তীর রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে এবারের ঈদের ট্রেন যাত্রা।