বরগুনার বাজারগুলোতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

বরগুনা, দেশের খবর

মোঃ খাইরুল ইসলাম আকাশ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম,বরগুনা | 2023-09-01 08:38:31

আর মাত্র ৩ দিন বাকি। মুসলমানদের ত্যাগের একটি উৎসব এই পবিত্র কোরবানি। তাই সবাই চাচ্ছে পছন্দের পশুটি কোরবানি দিয়ে ত্যাগের এই উৎসবটি পালন করতে। এনিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন খামারিরা। লোকালয় বাজারগুলোতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে জমে উঠেছে বরগুনার কোরবানির পশুরহাট।

বরগুনার ৬টি উপজেলার এ হাটগুলোতে বিদেশি গরুর সমাগম না থাকায় চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে দেশি গরু। যা নাগালের বাইরে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে খামারিরা বলছেন, গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি কিন্তু গরুর দাম তুলনামূলক বেশি না।

এদিকে, জাল টাকার মেশিন না থাকায় কিছুটা চিন্তিত বিক্রেতারা। উপজেলার এ হাটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা করেছে জেলা পুলিশ।

বরগুনা জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় কোরবানির জন্য প্রায় ২৬ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পশু আছে। কৃত্রিমভাবে পশু মোটাতাজাকরন এবং রোগাক্রান্ত পশু যাতে বিক্রি না হয় সে বিষয়ে নজরদারি করছে মেডিকেল টিম।

৬টি উপজেলার বেশ কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিবছর কোরবানির পশুর দাম একটু বেশি থাকলেও এ বছর ক্রেতাদের হাতের নাগালের মধ্যেই দাম রয়েছে বলে জানাচ্ছে বিক্রেতারা। তবে হাটগুলোতে বিক্রেতারা নিজেদের মতো করে দাম হাঁকাচ্ছেন বলে দাম বেশি বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।

বরগুনা জেলার তালতলী, আমতলী, বেতাগী, পাথরঘাটা, বামনা ও বরগুনা সদরের বড় হাটগুলোতে বিভিন্ন এলাকার গরু সরবরাহ হয়ে থাকে।

শুক্রবার (৯ আগস্ট)তালতলী উপজেলা ছোটবগী লোকালয়ের গরুর হাট ঘুরে দেখা যায়, গরুর হাট জমে উঠেছে। বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম চাইলেও ক্রেতারা দরদাম করেই কোরবানির পশু কিনছেন।

কোরবানির গরু কিনতে আসা আবুল ফরাজী বলেন, ‘প্রতি বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম বেশি। গত বছর যেই গরু এক লাখ টাকায় কিনেছি সেটা এবার বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।'

আর এক ক্রেতা মমিনুল বলেন, 'বিদেশি গরু বাজারে না আসায় দেশি গরুর দাম বেশি। তবুও আমরা খুশি দেশি খামারিরা লাভবান হচ্ছেন।’

লাউপাড়া গ্রামের খামার মালিক হায়দার মাস্টার জানান, গো-খাদ্যের দাম একটু বেশি থাকায় এবছর গরুর দামও গত বছরের চেয়ে একটু বেশি। শ্রমিক মজুরি বেশি থাকায় গরুর দাম কিছুটা বেশি। এ বছর লাভবান হবো বলে আশা করছি।

ছোটবগী বাজারের ইজারাদার শফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘এ বছর দেশি গরুর চাহিদা একটু বেশি। অন্যদিকে বিদেশি গরু বাজারে না আসায় খামারিরা লাভের মুখ দেখছেন। আর এ বাজারে গরু ক্রয়-বিক্রয় করতে কারও কোনো অসুবিধা হচ্ছেনা। এখানে সব ধরনের নিরাপত্তা আছে।

মেডিকেল ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা আমতলী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, ‘প্রতিটি বাজারেই ক্যাম্প বসানো হয়েছে। যাতে কেউ ফাঁকি দিয়ে রোগাক্রান্ত বা অসুস্থ গরু বিক্রি করতে না পারে।’

বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘প্রতিটি গরু হাটগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ফোর্স মাঠে রয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর