ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লক্ষাধিক কোরবানির পশু প্রস্তুত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দেশের খবর

আল মামুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | 2023-08-28 00:39:51

মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রস্তুত করা হয়েছে এক লাখ ৫ হাজার ৯৬০টি কোরবানির পশু। ফলে এ বছর চাহিদা মেটাতে পশু আমদানির প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন উপজেলার কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী অন্তত সাড়ে ১৩ হাজার খামারে এক লাখ ৫ হাজার ৯৬০টি গরু-মহিষ পালন করেছেন খামারিরা। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসব খামারে পালন করা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের গরু, মহিষ ও ছাগল।

তবে গত বছর শেষ সময়ে ভারতীয় গরু প্রবেশ করায় অনেক খামারি লোকসানের মুখে পড়েছিলেন। তাই এবছর সেই লোকসান কাটাতে জেলার বিভিন্ন খামারে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা।

এদিকে, জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ বাজার মনিটরিং করছে। এজন্য তাদের ৬০টি মেডিকেল টিম বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাটে কাজ করছে।

এবার সদর উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের ২৯ হাজার ৭১২টি, কসবা উপজেলায় ১২ হাজার ৩৬২টি, নাসিরনগর উপজেলায় ৮ হাজার ১৬৯টি, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৫ হাজার ২১০টি, বিজয়নগর উপজেলায় ১১ হাজার ৫৬৩টি, আখাউড়া উপজেলায় ৮ হাজার ৬৬৭টি, নবীনগর উপজেলায় ৬ হাজার ৩৩১টি, সরাইল উপজেলায় ৭ হাজার ৯৪৬টি ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১০ হাজার ৮৭১টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলার নয়টি উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় এক লাখ। চাহিদার তুলনায় বেশি পশু মজুদ থাকায় কোনো সংকট তৈরি হবে না।

এদিকে, জেলার নয় উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক ছোটবড় কোরবানির পশুর হাট রয়েছে। প্রতিটি বাজারেই কোরবানির পশু গরু, ছাগল ও মহিষ বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। যেখানে অধিকাংশই জেলার বিভিন্ন খামারিদের পালন করা পশু তোলা হয়েছে।

জেলার সদর উপজেলায় খামারী মো. তাজুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন ওষুধ, খড় ও ভুষিসহ দেশীয় পদ্ধিতে গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। ফলে গরু পালনে ব্যয়ও হয়েছে বেশি। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি, বাজারে যেন ভারতীয় পশু প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়।’

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাপস কান্তি দত্ত বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে প্রায় ৫ বছর আগে থেকেই জেলার নয় উপজেলায় কাজ করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। এবার জেলার কোরবানির পশুর কোনও সংকট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা জেলার প্রতিটি হাটে মোবাইল মেডিকেল টিম রেখেছি। তারা সবসময় মাঠে সক্রিয় রয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর