ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় কাদরিয়া (২১) নামে এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।
শনিবার সকালে (২৭ জুলাই) উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের ছাগলদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ছাগলদী গ্রামের কাওসার মুন্সীর স্ত্রী কাদরিয়া আগের দিনে রান্না করা বাসি খিচুড়ি ফেলে দিয়ে হাড়ি পাতিল পরিষ্কার করে ফেলে। এ কারণে তার শাশুড়ি সবজান খাতুন গৃহবধূ কাদরিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিবাাজ করে। এতে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বাধে।
স্বামী কাওসার মুন্সী ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী মারধর করে এবং এক পর্যায়ে কাওসার ও তার মা বেগমের গৃহবধূর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। কাদরিয়ার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা দৌড়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
উদ্ধার করে দ্রুত নগরকান্দা হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গৃহবধূর বাবা বেলায়েত শেখ অভিযোগ করে বলেন, ‘কাওসারের মা সবজান বেগম একজন ভয়ানক লোক। মা ছেলে দু’জনে মিলে আমার মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
এদিকে কাওসারসহ পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি- তদন্ত) মিরাজ হোসেন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
উল্লেখ্য, নগরকান্দা উপজেলার ছাগলদী গ্রামের বেলায়েত শেখের কন্যা কাদরিয়া বেগমকে সালথা উপজেলার খারদিয়া গ্রামে প্রথম বিয়ে হয় এবং সে ঘরে একটি সন্তানও রয়েছে। স্বামীর সংসার করা অবস্থায় কাওসার কাদরিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং কাদরিয়াকে তার স্বামীর নিকট থেকে ছাড়িয়ে আনে। এরপর আবার বিয়ে করতে রাজী না হওয়ায় কাদরিয়া বেগম বিয়ের দাবিতে কাওসারের বাড়িতে অনশন করেন। পরে এলাকাবাসীর চাপে কাদরিয়াকে বিয়ে করতে রাজি হন কাওসার মুন্সি। দেড় মাস আগে কাওসার কাদরিয়াকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন।