লক্ষ্মীপুরে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে ভিডিও ধারণের অভিযোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে তিন যুবককে আটক করেছে গ্রামবাসী।
বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার চররমনী ইউনিয়নের চরআলী হাসান গ্রাম থেকে তাদের আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন ঐ গ্রামের রফিকুল ইসলাম বেপারীর ছেলে বাহার, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আল আমিন ও আবু তাহেরের ছেলে সাকিল।
পুলিশ জানায়, গত ২২ জুন সন্ধ্যায় গৃহবধূ তার বাপের বাড়ি চরআলী হাসান গ্রাম থেকে স্বামীর বাড়ি শাকচর এলাকায় যাচ্ছিলেন। লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীর হাট সড়কের সাইফিয়া দরবার শরিফ এলাকায় পৌঁছালে ঐ গৃহবধূকে একা পেয়ে জোরপূর্বক পাশ্ববর্তী বাগানে নিয়ে যায় বাহার, আল আমিন, সাকিল ও বাদশা।
সেখানে ঐ গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন বাহার, আল আমিন, সাকিল ও বাদশা। এ সময় মোবাইল ফোনে তারা ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। ঘটনাটি কাউকে জানালে ফেসবুকে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে পরবর্তীতে গৃহবধূর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে আবারো দেখা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন বাদশা। দেখা না করলে ভিডিওগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি গৃহবধুর স্বামীর বাড়িতে জানাজানি হয়।
শ্বশুর বাড়ির লোকজন চররমনী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আব্দুর রহমান স্বপনকে বিষয়টি জানালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে আব্দুর রহমান স্বপন বলেন, ‘গণধর্ষণের ঘটনাটি গৃহবধূর পরিবারের লোকজন আমাকে জানিয়েছেন। পরে অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, ‘তিনজনকে আটক করা হয়েছে। গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’